#শিলিগুড়ি: বামেদের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শিলিগুড়িতে সিপিএমের অন্দরে প্রবল ক্ষোভ৷ দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের সামনেই ক্ষোভ উগরে দিলেন দলের যুব থেকে প্রবীন নেতাদের একটা বড় অংশ। দলীয় সূত্রে খবর, গত বিধানসভা এবং পুরসভার ব্যর্থতার পর আগামিদিনে সংগঠনেও বড়সড় ভাঙনের মুখে পড়তে পারে সিপিএম। যদিও এ নিয়ে প্রকাশ্যে কেউই মুখ খুলছেন না।
আজ দলের জেলা কমিটির বৈঠক ছিল। ছিলেন রাজ্য সম্পাদক সেলিম। বৈঠকেই নয়া সম্পাদকমণ্ডলী গঠন করা হয়। আর এই সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলী গঠন নিয়ে ব্যপক ক্ষোভ অনিল বিশ্বাস ভবনে। রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের সামনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বড় অংশ। ক্ষোভ উগড়ে দেন জেলা কমিটির সদস্যদের বড় অংশ। সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সংখ্যা ১৪ থেকে কমিয়ে ১০ করা হয়েছে। বাদ গিয়েছেন অশোক ভট্টাচার্য, মুকুল সেনগুপ্ত, পরিমল ভৌমিক। বয়সের কারণে বাদ অশোক, পরিমল।
আরও পড়ুন: গরমের ছুটির ভিড় সামালাতে কাল থেকেই ছুটবে দিঘা সামার স্পেশ্যাল, কখন-কোথা থেকে ছাড়বে? জানুন...
কেন বাইরে রাখা হল মুকুল সেনগুপ্তকে? এই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভের শুরু। মুকুলের পরিবর্তে সম্পাদকমণ্ডলীতে ঠাঁই হয়েছে যুব নেতা শচীন খাতির। শচীনকে কেন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য করা হল? এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যুব সংগঠনের নেতারা। অভিযোগ, শচীন খাতির পাহাড় এবং সমতলে তেমন কোনও প্রভাবই নেই। যা নিয়ে আজ অনিল বিশ্বাস ভবনে ক্ষোভ চরমে ওঠে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন জেলা কমিটির সদস্য পার্থ মৈত্র। আগামীতে আরও কয়েকজন পদত্যাগ করবেন বলে সূত্রের খবর।
রাজ্যে পরিবর্তনের পরও বম দূর্গ অটুট ছিল শিলিগুড়িতে। অশোক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে পুরসভা, মহকুমা পরিষদ ছিল বামেদের দখলে। বাইশের পুরভোটে ভরাডুবির পর যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে বামেরা, তখন সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলী গঠন নিয়ে ক্ষোভ চরম পর্যায়ে। যদিও টেলিফোনে ক্ষোভের কথা অস্বীকার করেছেন সিপিএম নেতা, জেলা বাম আহ্বায়ক জীবেশ সরকার। নতুন ১০ সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন, জীবেশ সরকার, সমন পাঠক, নুরুল ইসলাম, শরদিন্দু চক্রবর্তী, কেবি ওয়াতার, ঝরেন রায়, গৌতম ঘোষ, শচীন খাতি, দিলীপ সিং। পরে একজন মহিলা সদস্যাকে নেওয়া হবে কমিটিতে।
Partha Sarkar
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cpim