#শিলিগুড়ি: সুস্থতার হার বাড়ছে শিলিগুড়িতে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯০ শতাংশেরও বেশী আক্রান্ত সুস্থ হয়ে উঠছেন শিলিগুড়িতে। আর তাই আক্রান্তের গ্রাফ বাড়লেও চিকিৎসার জন্যে হন্যে হয়ে ঘুরতে হচ্ছে না রোগীদের। শুধু শহরের দুই কোভিড হাসপাতালেই নয়, পাহাড়ের একটি হাসপাতাল সহ বেসরকারী একাধীক হাসপাতালে আক্রান্তরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। চিকিৎসায় ভালোই সাড়া মিলছে বলে দাবী করছেন আক্রান্তরা। পাশাপাশি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ মতো হোম আইশোলেশনেও বাড়ছে সুস্থতার হার। এখন অনেকেই নিজের বাড়িতেই স্বাস্থ্য কর্তাদের পরামর্শ মেনে চিকিৎসা করাচ্ছেন। সবমিলিয়ে গত ৫ দিনে হোম আইশোলেশন, শিলিগুড়ি এবং পাহাড়ের কোভিড হাসপাতালে মিলিয়ে কোভিড জয় করেছেন ২৮০ জন! যা যথেষ্টই স্বস্তিদায়ক। সঙ্গে বেসরকারী হাসপাতালের সুস্থতার সংখ্যা যোগ করলে তা আরো বাড়বে। এক কোভিড হাসপাতালের সুপার জানান, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চললে আক্রান্তের গ্রাফও নিম্নমুখী হবে। কিন্তু অসাবধানতায় বেড়েই চলছে গ্রাফ। সাধারন মানুষের মধ্যে ন্যূনতম সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। অথচ মুখে তারাই সচেতনতার জয় গান গেয়ে চলেছেন। তার জেরেই উর্ধমুখী গ্রাফ। আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তা ছেত্রী। আজই তাঁর লালা রসের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। গত কয়েকদিন পাহাড় ও সমতলে একাধীক রাজনৈতিক কর্মসূচীতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর সাংসদ ফেসবুকে তাঁর সংস্পর্ষে আসা সকলকেই সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে হোম আইশোলেশনে থাকার কথা বলেছেন। আজই তাঁকে কোভিড স্পেশাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭টি ওয়ার্ড এবং দার্জিলিংয়ের পাহাড় ও সমতলের গ্রামীন এলাকা মিলিয়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮ জন! এর মধ্যে পুর এলাকায় আক্রান্ত ৪৭ জন। গ্রামীন চার ব্লকে নতুন করে আক্রান্ত ১৪ জন। তুলনায় অনেকটাই কম। যার মধ্যে নকশালবাড়িতে ১০ জন, মাটিগাড়ায় ৩ জন এবং খড়িবাড়িতে ১ জন। পাহাড়ে সংক্রমিত ৩৭ জন! বেশ ভারী সংখ্যায়। সুকনাতেই আক্রান্ত ২৮ জন! এখোনো পর্যন্ত একদিনে সর্বাধীক আক্রান্ত। দার্জিলিং পুর এলাকায় ৬ জন এবং কার্শিয়ং পুর এলাকায় ৩ জন আক্রান্ত।