#মালদহ: মালদহে শ্যুটআউট। গাড়ি থামিয়ে বিজেপি নেতাকে গুলি। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মন্ডল সভাপতি সাদেক আলি। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী ও তার দলবলের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ বিজেপির। ঘটনাটি ঘটেছে পুখুরিয়ার শ্রীপুরে। গুলিবিদ্ধ মন্ডল সভাপতিকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাম হাতে গুলি লেগেছে ওই বিজেপি নেতার। রাতে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকজন দুষ্কৃতী গাড়ি থামিয়ে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে শুরু হয়েছে বিজেপি-তৃণমূল চাপানউতোর।
পুলিশ জানিয়েছে, সকাল পর্যন্ত ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, এ দিন রাতে চারচাকা গাড়িতে পুখুরিয়ার লস্করপুর থেকে কুমারগঞ্জ রাস্তা ধরে বাড়ি ফিরছিলেন বিজেপির ১৮ নম্বর জেলা পরিষদ মন্ডল সভাপতি সাদেক আলি। পথে বরাইল এলাকায় তাঁর গাড়ি আটকায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। এরপর তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলি লাগে বিজেপি নেতার বাম হাতে। রাতেই তাঁকে পুখুরিয়া হাসপাতাল থেকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
গুলিবিদ্ধ ওই বিজেপি নেতার দাবি, সম্প্রতি শ্রীপুর-২ পঞ্চায়েত এলাকায় তাঁর হাত ধরে প্রচুর সংখ্যালঘু পরিবার বিজেপিতে যোগদান করেন। এমনকি শ্রীপুর-২ পঞ্চায়েতে পালাবদলের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েতের বর্তমান তৃণমূল প্রধানের একাধিক আর্থিক দুর্নীতির বিষয়ে তিনি প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এরপর থেকেই তাঁকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এলাকায় বিজেপির উত্থানে ভীত সন্ত্রস্ত হয়েই প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি গুলিবিদ্ধ বিজেপি নেতার। এ দিকে দলের সংখ্যালঘু নেতার ওপর এইভাবে প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে বিজেপি।
জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ মন্ডল বলেন, সংখ্যালঘুরা এখন আর তৃণমূলের পক্ষে নেই। অনেকেই উন্নয়নের আর স্বচ্ছতার কারণে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। মালদহের মত জেলায় সংখ্যালঘুদের বিজেপিতে যোগদানের ভয় পেয়েছে তৃণমূল। আর এই কারণেই হামলা চালানো হয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুষ্কৃতীরা গ্রেফতার না হলে মালদহে পুলিশ সুপারের অফিস-সহ বিভিন্ন থানায় মঙ্গলবার ঘেরাও বিক্ষোভ কর্মসূচি নেবে বিজেপি। যদিও ঘটনার সঙ্গে দলের যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের মালদহ জেলা সভাপতি মৌসম বেনজির নূর বলেন, ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। বিজেপি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিযোগ করছে। আসলে বিজেপিতে এখন বহু দুষ্কৃতী যোগ দিয়েছেন। তার ফলে নিজেদের মধ্যে অশান্তিতে জরিয়ে পড়ছে তারা।
Sebak DebSarma