#ইসলামপুর: উত্তর দিনাজপুর জেলায় প্রথম এক অ্যাডোপটেড ফোর হুইলার গাড়ির স্পেশাল লাইসেন্স পেলেন বিশেষভাবে সক্ষম শামিম আকতার। লাইসেন্স হাতে উজ্জীবিত শামিম। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর শামিমের হাতে এই লাইসেন্স তুলে দিতে পেরে খুশি উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর মহকুমার পরিবহণ দফতর।আত্মবিশ্বাস এবং মনের জোরেই যে পৃথিবীর সবকিছুকে জয় করা যায় তারই দৃষ্টান্ত রাখলেন ইসলামপুর থানার রামগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা বছর ছত্রিশের শামিম আকতার। পেশা ইসলামপুর ব্লক খাদ্য দফতরের গ্রুপ ডি কর্মচারী। জন্ম থেকেই বিশেষভাবে সক্ষম তিনি। আর দু’জন সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁর পার্থক্য এটাই যে, তার হাত দুটো স্বাভাবিক নিয়মে কাজ করে না। অনেকটাই ছোট। তার পাশাপাশি সেই ছোট হাতে রয়েছে দুটো আঙ্গুল। কিন্তু অদম্য সাহস এবং মনোবলের জোরে বিগত তিন বছর ধরে তার জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি অ্যাডাপটিভ ফোর হুইলার চালাচ্ছেন শামিম।
শামিম অ্যাডাপটেড ফোর হুইলার গাড়ি চালালেও তার কাছে গাড়ি চালানোর লাইসেন্স ছিল না। অবশেষে দীর্ঘ লড়াই এর সুফল মিলল। অবশেষে ইসলামপুর মহকুমা পরিবহণ দফতর তাঁর হাতে অ্যাডাপটেড ফোর গাড়ির বিশেষ লাইসেন্স তার হাতে তুলে দিল। খাদ্য দফতরের কর্মী শামিম জানিয়েছেন, আর পাচঁটা সাধারণ মানুষের মত তিনিও গাড়ি চালাতে পারছেন। পরিবহণ দফতর তাঁকে সেই স্বীকৃতি দিলেন। এই লাইসেন্স হাতে পেয়ে ভাল লাগছে। ইসলামপুর পরিবহণ দফতরের আধিকারিক শুভাশীষ সরকার জানান, খাদ্য দফতরের কর্মী শামিম আকতার অ্যাডপটেড ফোর হুইলার চালানোর লাইসেন্সের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আবেদন করেছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে এই আবেদন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শামিমের গাড়ি শো রুম থেকে বিশেষভাবে তৈরী করা হয়েছে। শুধুমাত্র তিনি ছাড়া আর কেউ এই গাড়ি চালাতে পারবেন না। অবশেষে পরিবহণ দফতর তাঁর হাতে স্পেশাল লাইসেন্স তুলে দিলেন। শামীমের হাতে এই লাইসেন্স তুলে দিতে পেরে তারা খুশি। রাজ্যে একাধিক অ্যাডোপটেড স্পেশাল লাইসেন্স দেওয়া হলেও উত্তর দিনাজপুর জেলায় প্রথম শামীমের হাতে উঠল এই লাইসেন্স ।