#হেমতাবাদ: করোনা আবহেই কাটল এ'বছরের রথযাত্রা! প্রায় গোটা রাজ্যেই সতর্কতার কারণে ভক্তরা রথের দড়ি টানতে পারলেন না! তবে, উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদের বাহারাইলে দেখা মিলল অন্য ছবির! থার্মাল স্ক্রিনিং-এর পর মাস্ক পরে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ভক্তরা সুযোগ পেলেন রথের দড়ি টানার।
হেমতাবাদ ব্লকের বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহারাইল জগন্নাথ দেব মন্দিরে রথের রশি টেনে রথযাত্রার সূচনা করলেন উত্তর দিনাজপুর জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি গৌতম পাল। উপস্থিত ছিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পম্পা পাল। পবিত্র রথযাত্রা উপলক্ষ্যে জেলাবাসীকে শুভেচ্ছা জানান গৌতম পাল। তিনি নিজে ভক্তদের হাতে মাস্ক তুলে দেন। খতিয়ে দেখেন থার্মাল স্করিনিং ও স্যানিটাইজিং প্রক্রিয়া।
উল্লেখ্য, এবছর করোনা আবহে পুরীধামের রথযাত্রায় হাতে গোণা লোকজন৷ সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া প্রত্যেকটি গাইড লাইন মেনেই অনুষ্ঠিত হয় পুরীর রথযাত্রা ৷ ছিল মাস্ক, ছিল সামাজিক দুরত্ব ৷ তারই মাঝে জগন্নাথ, বলরাম শুভদ্রা চড়লেন রথ ! রথের দড়ি টানেন মন্দিরের দেড় হাজার সেবায়েত। সরকারি ভাবে যদিও ১২০০ সেবায়েতের কথাই বলা হচ্ছে। রথের রশি টানার আগে সেবায়েতদের কোভিড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হচ্ছে। রথ টানার সময়ে মুখে মাস্ক ছিল বাধ্যতামূলক। স্যানিটাইজার ব্যবহার করার দিকেও থাকে কড়া নজরদারি।
জগন্নাথ দেবের পুজো আচারের রীতিনীতি চূড়ান্ত করতে সোমবার দুপুর থেকেই দফায় দফায় বৈঠক করে মন্দির সোসাইটি। পুরীর মন্দিরের মুখ্য দৈতাপতি রাজেশ দৈতাপতি জানান, "সকাল সাতটায় রথে উঠবেন মহাপ্রভু। তারপর রাজা এসে ঝাড়ু দেবেন। মহাপ্রভুর দর্শন করবেন শঙ্করাচার্য। এই সব রীতি নীতি মিটিয়ে দুপুর বারোটা নাগাদ জগন্নাথ দেবের রথ গুন্ডিচায় মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবে।" তিন কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করবে মহাপ্রভুর রথ।
UTTAM PAUL
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: RathYatra 2020