#আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ারে ট্রেন চালকের তৎপরতায় বাঁচল হাতি। গত দশ দিনে ৪বার হাতিদের প্রাণ বাঁচাল চালকের তৎপরতা। চালক ও সহচালকদের পুরস্কার দিচ্ছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে।
শনিবার সকাল । চাপরামারি অভয়ারণ্যের মাঝখান দিয়ে ছুঁটছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের শিলিগুড়ি-দিনহাটা ডেমু। নাগরাকাটা ও চালসা স্টেশনের মাঝখানে হঠাৎই চালক সঞ্জিত সরকার দেখতে পান, রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে গজরাজ।
এমারজেনসি ব্রেক চেপে ট্রেন থামানোয় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় হাতি। মিনিট তিনেক পর রেললাইন ছেড়ে জঙ্গলে চলে যায় দাঁতাল হাতি। শুধু শনিবারই নয়, গত দশদিনে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পেও তিনবার হাতিদের প্রাণ বাঁচিয়েছেন ট্রেন চালক।
২৩ জুলাই- বিকেল ৫টা ৩৫ নাগাদ আলিপুরদুয়ার জংশন ও রাজাভাতখাওয়ার স্টেশনের মাঝখানে হাতির পালের প্রাণ বাঁচান চালক।
একইভাবে ২৫ জুলাই বিকেল ৫টা ৫৮ মিনিটে রাজাভাতখাওয়া ও কালচিনি স্টেশনের মাঝখানে রেললাইনে প্রাণ বাঁচে ১২-১৩টি হাতির।
প্রায় একই জায়গায় ১ অগাস্ট ৫টা ২৫ মিনিটে চালক ও গার্ডের তৎপরতায় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ৪-৫টি হাতি।
- রেললাইনে হাতির মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বন দফতর অভিযোগের আঙুল তুলেছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের দিকে। দশ দিনে চারবার হাতিদের প্রাণ বাঁচিয়ে নজির তৈরি করলেন কিন্তু ট্রেন চালকরাই। ট্রেনের চালক ও গার্ডদের পুরস্কৃত করছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে। রাতে রেললাইনের উপর ট্রেনের ধাক্কায় কয়েকমাস আগেও গেছে হাতির প্রাণ। অভিযোগ, রাতে নির্ধারিত গতির থেকে বেশি গতিতে ট্রেন চলায় প্রাণ যাচ্ছে হাতির। তবে দিনের আলোয় চালকের তৎপরতায় গত দশদিনে প্রাণ বাঁচল বেশ কয়েকটি হাতির।