#রায়গঞ্জ: তাঁরাই মানুষকে সচেতন করছে। তাঁরাই বাজার-ঘাটে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করছে। লকডাউন উপেক্ষা করে কেউ যাতে রাস্তায় না বেরোয় তাও দেখতে হচ্ছে। কেউ বিপদে পড়লে তাঁরাই ত্রাতার ভূমিকায় হাজির হচ্ছে। তাঁরা অর্থাৎ পুলিশ। করোনা বিপর্যয় রুখতে স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া যাদের ভূমিকা সবথেকে বেশি।
এবার সেই পুলিশ বাহিনীই তাঁদের একদিনের বেতন রাজ্য সরকারের ত্রাণ তহবিলে দান করার সিদ্ধান্ত নিল। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কনস্টেবল থেকে পুলিশ সুপার, সমস্ত স্তরের প্রত্যেক কর্মীকে অনুরোধ করা হয়েছে তাদের একদিনের বেতন রাজ্যের ত্রাণ তহবিলে দান করার জন্য। এক্ষেত্রে কেউ যদি দান করতে রাজি না হন তা লিখিত আকারে তার বিভাগীয় প্রধানের কাছে জানাতে বলা হয়েছে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, বেশিরভাগ কর্মী তাঁর এই আবেদনে সাড়া দিচ্ছেন।
এক্ষেত্রে কনস্টেবল থেকে পুলিশ সুপার পদ পর্যন্ত প্রত্যেকে কত টাকা করে দান করবেন তাও ধার্য করে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার অফিসার দান করবেন ৩০০০ টাকা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দান করবেন ২,৫০০ টাকা, ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার দান করবেন ২,০০০ টাকা, ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার দান করবেন ১৬০০ টাকা, সাব-ইন্সপেক্টর দান করবেন ১২০০ টাকা, এসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর দান করবেন ৯০০ টাকা এবং কনস্টেবল দান করবেন ৭০০ টাকা। রাজ্যের ত্রাণ তহবিলে একদিনের বেতন দান করার সিদ্ধান্তটি পুলিশ সুপার নিলেও কেউ দান করবেন কিনা সেই বিষয়টি প্রত্যেকের নিজের সিদ্ধান্তের উপরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও পুলিশকর্মী যদি দান করতে না চান তাহলে সেই বিষয়টি তাকে লিখিত আকারে কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলা হয়েছে।
রায়গঞ্জ জেলা পুলিশই এই প্রথম পুলিশের তরফে করোনা মোকাবিলায় গঠিত রাজ্য সরকারের ত্রাণ তহবিলে দান করার সিদ্ধান্ত নিল। এবার অন্যান্য জেলা পুলিশ এবং রাজ্য সরকারের অন্যান্য দফতরের কর্মী-অফিসারেরাও যাতে এই কঠিন সময়ে রাজ্যের ত্রাণ তহবিলে দান করার ব্যাপারে এগিয়ে আসে, সেই আবেদন রায়গঞ্জ জেলার পুলিশের ৷
করোনা বিপর্যয় গোটা দেশ তথা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই সরকারের তরফে সাধারণ মানুষের কাছে ত্রাণ তহবিলে দান করার আবেদন করা হয়েছে। একাধিক বেসরকারি সংস্থা ইতিমধ্যেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে। সরকারি তরফে পথ দেখালো রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ।
করোনার জেরে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণার পর থেকে স্বাস্থ্য কর্মীরা ছাড়া পুলিশই জরুরি পরিষেবার কাজে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
নিজে আক্রান্ত হওয়ার ভয়কে উপেক্ষা করে হাসপাতালে ডিউটি করতে হচ্ছে তাঁদের। আবার লকডাউনের জেরে পথঘাট শুনশান হয়ে পড়ায় ভবঘুরে, ফুটপাথবাসী, পথশিশু যাদের পেটে ভাত জুটছে না তাদের খাবারের ব্যবস্থা করতেও দেখা গিয়েছে পুলিশকেই।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona Relief Fund, Corona Virus, COVID-19