#শিলিগুড়ি: সাগর থেকে পাহাড়। শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে এবারে পোস্টার শৈলশহরে। পাহাড়বাসীর ঘুম ভাঙল শুভেন্দুর পোস্টার, হোর্ডিং দেখে। যেখানে লেখা "শারদোৎসব, কালীপুজো, ভাইফোঁটা, ছটপুজো এবং ২০২১-এর আগাম শুভেচ্ছা। তারপরের লাইনে লেখা 'দাদা আমরা গর্বিত তোমার জন্য।' নীচে লেখা 'আমরা দাদার অনুগামীরা।' এবং পুরোটাই নেপালী ভাষায় লেখা।
এই পোস্টার, হোর্ডিংকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় শৈলশহরে। দার্জিলিং ক্লক টাওয়ার, ম্যাল, চক বাজারে পড়ে পোস্টার। শহর লাগোয়া লেবংয়েও পড়ে পোস্টার। কার্শিয়ং স্টেশন এবং জিটিএ'র চেয়ারম্যান অনীত থাপার বাড়ির রাস্তায় পড়ে শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে পোস্টার। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়েন মোর্চার দুই শিবিরই। বিনয় তামাং, অনীত থাপাদের পাশাপাশি বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়ে যায়। পাশাপাশি তৃণমূলের পার্বত্য শাখার নেতাদের অস্বস্তিও কয়েক গুন বেড়ে যায় পড়ে।
পাহাড়ে পোস্টার রাজনীতি নতুন নয়। বরাবরই পাহাড়ের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাতে লেখা পোস্টারে। কিন্তু এ বারে একেবারে ছাপা পোস্টার! সকাল থেকেই পাহাড়ের রাস্তাজুড়ে ছিল এই পোস্টার। তবে দুপুর গড়াতেই উধাও হয়ে যায় পোস্টার। শৈলশহরের রাস্তা থেকে উধাও হয়ে যায় শুভেন্দুর সমর্থনে লেখা পোস্টার, হোর্ডিং। কারা খুলল? তা এখনও ধোঁয়াশায় সব পক্ষই। শুভেন্দুর অনুগামী এক নেতা জানান, তৃণমূলই করেছে। দাদা মন্ত্রিত্ব ছাড়তেই পোস্টার খুলে দেওয়া হয়েছে। এটা গনতন্ত্র নয়। গনতন্ত্রে সকলেই তাদের রাজনৈতিক কার্যকলাপ করতে পারে। আর পোস্টারে ছিল শুভেচ্ছা বার্তা। যদিও পোস্টার নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মোর্চা নেতারাও।
প্রসঙ্গত, এর আগে সমতলের বিভিন্ন জেলা, ব্লকে পড়েছে পোস্টার। খোলা হয়নি। ছটপুজোর দিন শিলিগুড়ির মহানন্দা ঘাটে হোর্ডিং লাগাতে এলে এক গাড়ির চালককে আটক করে পুলিশ। পরে অবশ্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে পোস্টার খুলে ফেলার ঘটনা এই প্রথম। ঘটনা ঘটল শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর। সব মিলিয়ে শুভেন্দুকে নিয়ে উত্তাপ বাড়ছে শৈলশহরেও।
Partha Sarkar