#কার্শিয়ং: পুরসভার ভোট নিয়ে এখন পাহাড়ের রাজনীতি সরগরম। পাহাড়ের চার পুরসভার মধ্যে কার্শিয়ংয়ের লড়াইয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শান্তা ছেত্রী। অন্যদিকে উন্নয়নের ইস্যুতেই এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ মোর্চা । ২০ আসনের কার্শিয়ং পুরসভায় বোর্ড গঠন কারা করে তার দিকেই তাকিয়ে পাহাড়বাসী।
১৯৯৪ সালে পুরভোট দিয়েই প্রথমবার জনপ্রতিনিধি হয়েছিলেন শান্তা ছেত্রী। শুরুটা হয়েছিল জিএনএলএফেলর ঝান্ডা দিয়ে। প্রয়াত নেতা সুবাস ঘিসিংয়ের স্নেহে রাজনীতির আঙিনায় এগিয়ে যেতে সময় লাগেনি শান্তার। ধাপে ধাপে হয়ে ওঠেন কার্শিয়ংয়ের জনপ্রিয় নেত্রী। তবে মোর্চার আবির্ভাবে ঝঢ ঝাপটা আসতে শুরু করে নেত্রীর জীবনে। মোর্চার ফতোয়ায় পাহাড় ছাড়া হতে হয় শান্তাকে। এরপরে তিস্তা দিয়ে গড়িয়েছে বহু জল। জবাব দিতে তৈরি হয়েছেন শান্তা। এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে পুরসভার ভোটে লড়ছেন তিনি। উন্নয়ন আর মোর্চার দুর্নীতিকে অস্ত্র করেই ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছেন তিনি।
বিনা যুদ্ধে পুরসভার একটা আসনও ছাড়তে রাজি নয় মোর্চাও। তাই শান্তার বিরোধিতা করতে পথে নেমেছে কার্শিয়ংয়ে মোর্চার বিধায়ক রোহিত শর্মা। ভোটকে পাখির চোখ করেই যে নেতা মন্ত্রীরা বারবার পাহাড়ে ছুটে যাচ্ছেন, তা আরও একবার পাহাড়বাসীকে মনে করিয়ে দিতে চান রোহিত।
২০ আসনের কার্শিয়ং আসনের ক্ষমতা পেতে ঝাঁপিয়ে পডেছে দু দলই। এখন পাহাড়ে শেষ হাসি কে হাসবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ভোটের ফল প্রকাশ পর্যন্ত।