#শিলিগুড়ি: করোনা মোকাবিলায় আরও লম্বা লকডাউন। গতকালই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ৩ মে পর্যন্ত গোটা দেশে চলবে লকডাউন। প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী এক সুরে লকডাউন মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে চলেছেন। মানছেন দেশের একটা বড় অংশ। কিন্তু তারপরও অসচেতন একটা অংশ। প্রতিদিনই রুটিন করে দু'বেলা বেড়িয়ে পড়ছেন শহরের রাস্তায়। কেউ বাজারের আছিলায়। কেউ আবার ওষুধ কেনার অজুহাতে বের হচ্ছেন। সত্যিই কি জরুরি পরিষেবায় বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন?
লকডাউনের প্রথম দিকে যে তৎপরতা দেখিয়েছিল পুলিশ, তাতে ভালোই সাড়া পড়েছিল। "টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ" মূহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এই লেখাটি। আর তাতেই ঘর বন্দী জনতার সংখ্যা বেড়ে যায়। তারপর পুলিশ ঢিলেঢালা মনোভাব নিতেই ভিড় জমতে শুরু করে শহরের রাস্তায়। শুধু কি রাস্তায়? শিলিগুড়ির বহু এলাকায় অলি গলিতেও থিক থিক ভিড়ের ছবি নজরে এসছে। কেউ কেউ আবার পাড়ার মাঠে দিব্বি চুটিয়ে আড্ডায় ব্যস্ত। যা প্রশ্ন তোলে আদৌ কি লকডাউন চলছে শিলিগুড়িতে? এ তো গেল শহরের ছবি। গ্রামের ছবি আরও ভয়ঙ্কর। প্রতিটি হাটেই উপচে পড়া ভিড়।
মাস্ক বা ফেস কভারের বালাই নেই! কোথায় সামাজিক দূরত্ব? যেন এক নিয়ম ভাঙার খেলায় মেতে উঠেছে গ্রামবাসীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন ভিড়ের।ছবি ছড়িয়ে পড়তেই ফের তৎপর শিলিগুড়ি পুলিশ। মহকুমা জুড়েই চলছে নাকা তল্লাশি। শহরের বিভিন্ন মোড়েও পুলিশি তৎপরতা আজ দেখা গেল। সে দু'চাকাই হোক কিংবা চার চাকার গাড়ি। দাঁড় করিয়ে জোর জিজ্ঞাসাবাদ। প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে না পারলেই গ্রেপ্তার। আজ শিলিগুড়ির হাসমিচকে বিনা প্রয়োজনে শহর বেড়াতে এসে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় অনেকেই। আটকে রাখা হয় গাড়ি। পুলিশি জেরায় ওষুধ কিনতে যাচ্ছে বললেও প্রেসক্রিপশন চাইতেই প্রয়োজনীয় জবাব দিতে পারেনি অনেকেই। শুধু হাসমিচকই নয়, জংশন, দার্জিলিং মোড়, শালুগাড়া মোড় সহ নকশালবাড়ি, মাটিগাড়া, খড়িবাড়ি, ফাঁসিদেওয়ার দিকেও চলছে জোর তল্লাশি। ইতিমধ্যেই রাজ্য ঘোষণা করেছে, লকডাউন ভাঙলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধারাবাহিকভাবেই চলবে এই অভিযান বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona Virus, COVID-19, Lockdown