মালদহ: মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিরাপত্তা রক্ষী ও রোগীর পরিবার পরিজন সংঘর্ষ। প্রকাশ্যে হাতাহাতি, মারামারি। নিরাপত্তা রক্ষীদের বিরুদ্ধে রোগীর পরিবারকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। মারধর থেকে রেহাই মেলেনি মহিলাদেরও।
ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীকে দেখতে যাওয়া নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। পরে নিরাপত্তা রক্ষীদের আচরণের বিরুদ্ধে সরব হন অন্যান্য রোগীর পরিবারের লোকজন। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছয় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। আক্রান্ত রোগীর পরিবারের দাবি, হাসপাতালে অন্তর্বিভাগ চিকিৎসাধীন রয়েছে উত্তরদিনাজপুরের ইটাহারের চুড়ামন এলাকার রোগী। তাঁকে দেখতে এদিন বিকেলে পালা করে হাসপাতালের ভেতরে যেতে চান রোগীর পরিবারের লোকজন।
এনিয়ে নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে বচসা থেকে গোলমাল বাঁধে। এরপর আচমকাই মারমুখী হয়ে ওঠে নিরাপত্তা রক্ষীরা। রোগীর পরিবারের মহিলাদেরও মারধর থেকে রেহাই দেওয়া হয়নি। মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে প্রকাশ্য রাস্তায় ফেলেও মারধর চলে বলে অভিযোগ। পুরুষ নিরাপত্তা রক্ষীরা কীভাবে মহিলাদের হেনস্থা, মারধর করলেন, এনিয়ে প্রশ্ন তুলে আক্রান্তের পরিবার। যেভাবে রোগীর পরিবার- পরিজনদের হাসপাতাল চত্বরে বেধড়ক পেটানো হয়েছে তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপস্থিত অন্যান্য রোগের পরিজনেরাও।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পৌঁছয়। এরপর পুলিশের সামনেই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে আক্রান্তের পরিবার ও অন্যান্য রোগীর আত্মীয়রা। যদিও নিরাপত্তারক্ষীদের দাবি, বারবার করে একই রোগীর আত্মীয়রা ওয়ার্ডের ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। 'ভিজিটিং আওয়ারের' পরেও তাঁরা ওয়ার্ডে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে আপত্তি করলে তারাই প্রথমে আক্রমণ করেন।
আরও পড়ুন, বিরাট স্বস্তি! NSC, কিষাণ বিকাশপত্র, সুকন্যাতে সুদের হার বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার
আরও পড়ুন, কারোর মৃত্যুর পরে কী হয় তাঁর Facebook অ্যাকাউন্টে, এই ঘটনা শুনলে চমকে উঠবেন
মালদহ মেডিক্যাল কলেজের সুপার পুরঞ্জয় সাহা বলেন, রোগীর সঙ্গে সাক্ষাতের নির্দিষ্ট সময়ের পরেও রোগীর পরিবার জোর করে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেছে। তাঁরা অশান্তি করেছে। পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। যদিও নিরাপত্তারেক্ষীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Police