#হেমতাবাদ: যুবকের খুনের ঘটনায় অর্জুন বর্মন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করল হেমতাবাদ থানার পুলিশ। ধৃতকে আজ, রবিবার, রায়গঞ্জ আদালতে হাজির করলে বিচারক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃত ব্যাক্তির বাড়ি রায়গঞ্জ থানার লক্ষণীয়া গ্রামে। জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু অসংলগ্ন তথ্য হাতে পেয়েছে হেমতাবাদ থানার পুলিশ।
গত ২৭ জানুয়ারি বুধবার রাতে উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের চৈনগরের কাহালই সেতুর সংলগ্ন এলাকায় এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে মৃত যুবকের পরিচয় জানতে পারা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে দুমরানো মুচরানো মোটরবাইক উদ্ধার হয়। এছাড়াও মৃতদেহ পাশ থেকে একটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার হয়। দুর্ঘটনা না খুন পুলিশ এনিয়ে ধন্দে ছিল। ময়নাতদন্তের পর জানা যায় মৃত যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। মৃত যুবকের নাম রাজীব লোচন সরকার। বাড়ি হেমতাবাদ থানার বাহারইল গ্রামে। এই তথ্য হাতে পাওয়ার পর পুলিশ নড়েচড়ে বসে। হেমতাবাদ থানা পুলিশের কাছে ঘটনাটি ধোয়াসাই থেকে যায়। খুনের ঘটনা রহস্য উদ্ঘাটনে শনিবার ঘটনাস্থলে তদন্তে যান রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সুমিত কুমার। তিনি এলাকা পরিদর্শন করেন। খুনের রহস্য খুব শীঘ্রই উদঘাটন হবে বলে পুলিশ সুপার সুমিত কুমার আশ্বস্ত করেছিলেন। পুলিশ সুপার ঘুরে যাবার পরই হেমতাবাদ থানার পুলিশ রায়গঞ্জ থানার লক্ষ্মনীয়া গ্রাম থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়।ধৃত যুবকের নাম অর্জুন বর্মন।
আরও পড়ুন বিদেশী মদ পাচার! তার আগে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ মদ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন মৃত রাজীব এবং অর্জুন দীর্ঘক্ষণ একসঙ্গে ছিল। রায়গঞ্জ থানার রামপুর, মহারাজা সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে মদ্যপান করেছেন। আকন্ঠ মদ্যপানের পর রাজীবকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। রাতেই তার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থলে রক্তের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় আর কারা জড়িত পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। খুনের রহস্য উদঘাটনে তদন্তের গতি আনছে জেলা পুলিশ।