#আলিপুরদুযার: প্রতিষ্ঠিত ছেলেমেয়েদের সংসারে তিনি নেহাতই অবাঞ্ছিত। পেনশনের দিন এলেই জোটে নতুন কাপড়, হোটেলের খাবার। আর মাসের বাকি ২৯ টা দিন ঘরের এক কোণে পড়ে থাকেন আলিপুরদুয়ারের মিলন পণ্ডিত। খিদের জ্বালায় চেঁচামেচি করলেও খাবার জোটে না। জীবনের শেষবেলায় এসে হাত ছেড়েছে পরিবার। ক’দিন পরে হয়তো ভিটে মাটিটুকুও হারাবেন। ঠাঁই হবে হোমে। অসহায় চোখে ঠায় তাকিয়ে থাকেন ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা। একরাশ অভিমান জমেছে মনে... বড় যত্ন করে পাঁচপাঁচটা ছেলেমেয়ে মানুষ করেছিলেন, কিন্তু আজ যে তাঁরা ভীষণ ব্যস্ত। বৃদ্ধা মায়ের খোঁজ নেবে, সময় কোথায়! এক কামরার একটা ছোট্ট ঘর..আলো, পাখা থাকলেও সেগুলো চলে না..ছেঁড়া একটা বালিশ আঁকড়ে মেঝেতে পড়ে থাকেন মিলন পণ্ডিত। হয়তো বা দিন গোনেন, কবে পেনশনের টাকা আসবে। সেদিন ছেলে বৌমা আসবে। যত্ন করবে। সাজুগুজু করিয়ে টাকা তুলতে নিয়ে যাবে, হোটেলেও খাওয়াবে। আর তারপর আবারও সেই রঙচটা দেওয়ালের জমাট অন্ধকার... লোকে বলে, তাঁর নাকি মাথার ব্যামো। কিন্তু পেটের জ্বালা তো আর কথা শোনে না..খিদের চোটে ভোররাতে থেকে থেকে চেঁচিয়ে ওঠেন। ছেলের বউ অবশ্য বললেন, ডাক্তার দেখানো, খাবার দেওয়া সবই তিনি করেন। কিন্তু শাশুড়ি মানসিক ভারসাম্যহীন। তাই তাকে হোমে পাঠানো ছাড়া গতি নেই। একই পরিস্থিতি ছিল বসিরহাটের অনিমা বাছারেরও। ছেলে বৌমার অত্যাচারে তাঁর ঠাঁই হয়েছিল ফুটপাথে। ৩১ জুলাই সেই খবর দেখানও হয় নিউজ এইটিন বাংলায়। তারপরই হাসিমুখে অণিমা বাছারকে ফিরিয়ে নেয় পরিবার। মিলন পণ্ডিত আর তার প্রতিবেশীরাও এখন অপেক্ষার প্রহর গুনছেন...যদি ভুল বুঝতে পারে পরিবার। জীবনের শেষবেলায় যদি নিজের ঘর, পরিবার আবার ফিরে পায় বৃদ্ধ মানুষটা....
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Alipurduar, Mother, Pension