#শিলিগুড়ি: জেলায় আক্রান্তের গ্রাফ অপরিবর্তিত! তবে আশার কথা পুর এলাকায় নামল আক্রান্তের সংখ্যা! দিনের শেষে শহরবাসীর কাছে এটাই স্বস্তির খবর। তবে গ্রামীণ এলাকায় গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমুখী। পাহাড়েও বেড়েছে সংক্রমণের সংখ্যা। কেন?
র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হওয়াতেই সংখ্যাটা বেড়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। পাহাড় ও সমতল মিলিয়ে পাঁচটি পুরসভা এবং ১২টি ব্লকে র্যাপিড টেস্ট একযোগে শুরু হলে আক্রান্তের সংখ্যা আরএ বাড়বে। একেই আরটি পিসিআর পদ্ধতিতে টেস্ট তো হচ্ছেই বিভিন্ন হাসপাতাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, এবারে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হওয়ায় আরও বেশি করে কোভিড আক্রান্তের খোঁজ মিলছে। আর এর সুফলও মিলবে। চিহ্নিত করা যাবে আক্রান্তদের। মিলবে চিকিৎসা। সুস্থ করে তোলার সুযোগও বাড়বে।
শুধু কোভিড হাসপাতালেই নয়, নিজের বাড়িতেও থেকে চিকিৎসার সুযোগ মিলবে। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবালাম জানান, জেলা জুড়েই র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যায় তার প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭টি ওয়ার্ড এবং দার্জিলিংয়ের পাহাড় ও সমতল মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৭ জন! প্রায় ১০০ ছুঁই ছুঁই! গতকালের তুলনায় কিছুটা কম। স্বস্তির খবর পুর এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে।
বুধবার পুরসভার ৪৭টি ওয়ার্ডে ২০ জনের লালা রসের নমুনা রিপোর্ট পজিটিভ এসছে। তবে গ্রামাঞ্চলে র্যাপিড টেস্ট শুরু হওয়ায় বেড়েছে গ্রাফ। আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯ জন! এর মধ্যে নকশালবাড়িতেই আক্রান্ত ৩৭ জন! গত কয়েকদিন ধরেই নকশালবাড়িতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মাটিগাড়ায় আক্রান্ত ১৫ জন। এক কর্মীর আক্রান্তের জেরে আজ থেকে টানা ৭দিন বন্ধ থাকছে মাটিগাড়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তর। খড়িবাড়িতে ৩ এবং ফাঁসিদেওয়ায় ৪ জন আক্রান্তে খোঁজ মিলেছে। পাহাড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ জন। এর মধ্যে দার্জিলিং পুরসভা এলাকায় ১১, কার্শিয়ং পুর এলাকায় ১ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। সুকনায় নতুন করে আক্রান্ত ৫ জন। অন্য জন তাগদার বাসিন্দা। এদিন সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৫ জন।
Partha Pratim Sarkar
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।