#দার্জিলিং: আশঙ্কা ছিলই। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের উপর থেকে হেরিটেজ তকমা তুলে নেওয়ার পথেই এগোচ্ছে ইউনেসকো। চলতি মাসের ১১ সেপ্টেম্বর টয় ট্রেনের ভবিষ্যত ঠিক করতে বৈঠকে বসছিল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, ইউনেসকো ও রেলওয়ে বোর্ড। সূত্রের খবর, ইউনেসকো ডিএইচআর-এর জন্য যে আর্থিক সাহায্য করেছিল তা বন্ধ করা হতে পারে অচিরেই।
গত ১০ বছরে পাহাড়ে একাধিকবার ধস নেমেছে। ধসের কারণে বন্ধ হয়েছে কুইন অফ দ্য হুইলস। নানা জটিলতা কাটিয়ে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে পাহাড়ে চলতে শুরু করে টয় ট্রেন। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর উপস্থিতিতে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে-কে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ইউনেসকো। তারপরেই পাহাড় বনধের জেরে ধাক্কা খায় টয় ট্রেন। ৮২ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে টয় ট্রেন। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একের পর এক স্টেশন। নষ্ট হয়েছে ডিএইচআর-এর কোচ। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের এই অবস্থার জেরে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইউনেসকো। এই হেরিটেজ সম্পত্তি কিভাবে নষ্ট হল, তা জানতে চাওয়া হয় উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ও দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে-র থেকে। সদুত্তর না মেলায় ডাকা হয়েছে বৈঠক। আলোচনা হবে বরাদ্দ টাকার অনুমোদন বন্ধ নিয়েও। রেলওয়ে বোর্ডের প্রাক্তন কর্তাদের বক্তব্য, এটি আসলে হেরিটেজ তকমা তোলার প্রথম পদক্ষেপ।
প্রাথমিকভাবে রেলের তরফ থেকে যে হিসাব দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হচ্ছে জয় রাইড না হওয়ায় ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৯ কোটি টাকা। হেরিটেজ ভবনগুলির ক্ষতি কি হয়েছে তা পর্যালোচনা করতে একটি দলের পাহাড়ে আসার কথা ছিল। যদিও বনধের কারণে তারা এসে পৌছতে পারেনি। ফলে ক্ষতির অঙ্ক ক্রমশ বাড়বে বলেই জানাচ্ছে রেল। ফলে একদিকে আর্থিক ক্ষতি, অন্যদিকে হেরিটেজ তকমা তুলে নেওয়ার আশঙ্কা। দোলাচলে পাহাড়ের কুইন অফ হুইলস। তবে রেলওয়ে বোর্ডের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান অশ্বিনী লোহানি নিজে থাকবেন এই বৈঠকে। হেরিটেজ তকমা ধরে রাখতে ভরসা এখন তিনিই।