#শিলিগুড়ি: আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে স্বাভাবিক হতে চলেছে অসম ও উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অংশের রেল যোগাযোগ। বন্যার ক্ষত সারিয়ে বিহারের আঝরেইল সেতুতে আজ পরীক্ষামূলক ভাবে মালগাড়ি চালানো হয় । তাতে সাফল্য মিলতেই ট্রেন চালানোয় সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে রেল।
বন্যায় ভয়ঙ্কর চেহারা নিয়েছিল সুধানি নদী। তার ভয়াবহ আক্রমণেই বিহারের আঝরেইল সেতুর ৬০ মিটার এলাকার মাটি সরে যায়। বন্ধ হয়ে যায় অসম ও উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ।
বিপর্যয়ের মধ্যেই সেতু মেরামতি শুরু করে ঠিকাদারি সংস্থা। তলব করা হয় সেনাকেও। সেনা ও ঠিকাদারি সংস্থার যৌথ চেষ্টায় ফের মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে ওই সেতু।
- বন্যার জল নেমে যাওয়ায় মেরামতিতে সুবিধা হয় - মাটি ফেলে উঁচু করা হয় সেতুর নীচের এলাকা - সোমবার রাতে ডাউন লাইন দিয়ে ইঞ্জিন চালিয়ে পরীক্ষা করা হয় - মঙ্গলবার সকালে মালগাড়ি চালিয়েও পরীক্ষা করা হয় - আপ লাইনে এখনও মেরামতি চলছে
প্রথমে ট্র্যাক পরীক্ষা। পরে, ভার সহ্য করার পরীক্ষা। দুটি ক্ষেত্রেই উতরে গিয়েছে আঝরেইল সেতু। ? ৩ সেপ্টেম্বর থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতগামী ট্রেন চালানো সম্ভব হবে বলে রেলসূত্রে খবর ৷
- যাত্রিবাহী ট্রেন চালানো নিয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কমিশন অব রেলওয়ে সেফটি - তবে ওই সেতুতে ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে
আঝরাইল সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গত ১৩ অগাস্ট থেকে ২৮ অগাস্ট পর্যন্ত ওই পথে রেল পরিষেবা বন্ধ ছিল। তার জেরে নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ক্ষতির হিসেব পেশ করেছে উত্তর সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ।
রেলের ক্ষয়ক্ষতি
- মোট ৮২১ এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল হয়েছে - মোট ৪৮৪ প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল হয়েছে - রিজার্ভেশন ও নন রিজার্ভেশন টিকিটে ক্ষতি ৫২.৮৩ কোটি টাকার - মালপত্র ও পার্সেল বুকিংয়ে ক্ষতি হয়েছে ১৯.৭৭ কোটি টাকার
সপ্তাহ দুয়েকের আগের ছবির সঙ্গে আজকের আঝরেইল সেতুর কোনও মিল নেই। সেতুর সেই ভয়াবহ ছবি এখন উধাও। ধীরে ধীরে আগের অবস্থায় ফিরে আসতে চলেছে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু।