#দার্জিলিং: রাজ্য ও কেন্দ্রের বার্তা উড়িয়ে সংঘাতেই অনড় মোর্চা। গতকাল সর্বদলীয় বৈঠকে বনধের রাস্তাতেই সিলমোহর দিয়েছে মোর্চা-সহ পাহাড়ের ১৪টি সংগঠন। অন্যান্য দলের নেতারা। একইসঙ্গে, রাজ্যকে এড়িয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক চাপ বাড়িয়ে মোর্চানেতাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য।
বনধের দশম দিনেও থমথমে পাহাড় ৷ খোলেনি দোকানবাজার, বন্ধ যানবাহন ৷ দার্জিলিঙের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশি টহল ৷পাহাড়ে মোর্চার লাগাতার বনধ। টান রসদে । সাধারণ মানুষ থেকে বন্য প্রাণী। বাদ যাচ্ছে না কেউই। ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে দশ দিন। জমিয়ে রাখা শাকসবজি ফুরোতে শেষ করেছে ৷ চা পাতা বিস্কুট পর্যন্ত নেই। পাল্লা দিয়ে সংকট বেড়েছে জলেরও। রংবুল থেকে জল সরবরাহ করা হয় পাহাড়ে। গাড়িতে করে জলা আনা হয়। দৈনিক প্রত্যেক তিন ঘন্টা অন্তর ১৫টি লরি সরবরাহ করে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দৈনিক সাত ঘণ্টা অন্তর তিনটি করে গাড়ি জল সরবরাহ করছিল। পানীয় জল অন্যান্য কাজে ব্যবহারের করার ফলে জল মিলছে না পাহাড়ে।
৮ জুন থেকে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে দার্জিলিং। গত কয়েকদিন সেভাবে হিংসা না ছড়ালেও, মোর্চার একাধিক মিছিলে সরগরম ছিল দার্জিলিং। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে চকবাজার, লেবঙে মিছিল করে মোর্চার সমর্থকরা। মিছিল সামিল হয় দার্জিলিং গভর্মেন্ট কলেজের ছাত্রীরাও। শনিবার রাত থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত পাহাড়ে। পরিষেবা ফের চালুর দাবি ওঠে মিছিল থেকে।