#দার্জিলিং: স্কুলে বাংলা পড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পাহাড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধ ৷ মোর্চা বনধের আজ চতুর্থ দিন ৷ স্বাভাবিক জনজীবন বজায় রাখতে উদ্যোগী প্রশাসন ৷ পাহাড়ে বনধ উপেক্ষা করেই কাজে যোগ দিচ্ছেন সরকারি কর্মীরা ৷ তবে তাঁদের পরিচয় গোপন রাখছে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন ৷ কর্মীদের নিরাপত্তায় ব্যাপক পুলিশি প্রহরা রয়েছে প্রতিটি সরকারি দফতরে ৷ তবে সরকারি দফতরে নিষিদ্ধ সংবাদমাধ্যমও ৷
আজ চুর্থ দিনে পাহাড়ে ফের অশান্তির আশঙ্কা ৷ এদিন দার্জিলিঙে ২টি মিছিল করবে মোর্চা ৷ দার্জিলিং স্টেশন ও সিংমারি থেকে মিছিল করা হবে ৷ পুলিশ মিছিল আটকালে বিক্ষোভ দেখাবে মোর্চা ৷ অনির্দিষ্টকালীন ধর্মঘটের ডাক দেওয়ার হুঁশিয়ারি মোর্চা নেতাদের ৷
অন্যদিকে, সম্মানজনক পথ খুঁজতে দিল্লিতে আজ বিজেপি সাংসদ আলুওয়ালিয়ার সঙ্গে বৈঠক করবেন মোর্চা নেতা রোশন গিরি ৷ দেখা করতে চান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও ৷
আবারও বনধের রাজনীতিতে ফিরেছে পাহাড়। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ডাকে সরকারি অফিসে চলছে ধর্মঘট। ২০১৭ সালে যেন হঠাৎই ফিরে এসেছে নব্বইয়ের দশকের রাজনীতি। নেতার মুখ বদলেছে। সরকারি টাকা দখলে রাখার চেনা কায়দাটা একইরকম। পাহাড়ে রাজ্য সরকারকে নাক গলাতে না দিতেই একের পর এক আন্দোলন সুবাস ঘিসিং থেকে বিমল গুরুংদের। উন্নতম ও ক্ষমতার দ্বন্দ্বে আর কতদিন ভুগবেন পাহাড়বাসী?