#ডুয়ার্স: মাঝপথে থমকে স্কুল তৈরির কাজ। ফলে দেখা নেই শিক্ষক-পড়ুয়াদের। নির্মীয়মান ক্লাসরুমে অবাধে বিচরণ করছে গবাদি পশু। একদিকে স্কুলছুটদের সংখ্যা কমাতে যখন নানা উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার, তখনই এই উল্টো ছবি দেখা গেল ডুয়ার্সের বানারহাটে। একে অন্যের দিকে আঙুল তুলে দায় সারছেন প্রশাসনিক কর্তারা।
ঝোপঝাড়ে ঘেরা কয়েকটি দালান ঘর। এটাই বানারহাট থানার কাঁঠালগুড়ি হাটখোলার প্রাইমারি স্কুল। ছাত্র-ছাত্রী না থাকায় ক্লাসরুমগুলি চলে গেছে গবাদি পশুদের দখলে। অথচ কিছুদিন আগেই ইউনেস্কোর প্রকাশ করা রিপোর্টে প্রশংসিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ৷
এরাজ্যে স্কুলছুট বাচ্চাদের সংখ্যা অনেক কমে যাওয়ায় প্রশংসিত হয়েছে রাজ্য সরকারের উদ্যোগ ৷ অথচ সে রাজ্যেই দেখা মিলল এমন দৃশ্যের, যেখানে স্কুলের অভাবে আটকে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের পড়াশুনা ৷
স্কুল তৈরির জন্য বরাদ্দ হয় প্রায় ১৪ লাখ টাকা। সেই টাকাতেই ধুমধাম করে স্কুলঘর তৈরির কাজ শুরু হয় । কিন্তু গত শিক্ষাবর্ষের মাঝামাঝি হঠাৎই থমকে যায় স্কুল তৈরির কাজ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বরাদ্দ টাকা বেহাত হয়ে যাওয়া ফলেই থমকে গিয়েছে স্কুলের কাজ।যদিও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিদ্যালয় নির্মাণ কমিটির ওপরেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন।
হাতের সামনেই স্কুলবাড়ি. অথচ সেখানে যাওয়ার উপায় নেই. এলাকার কচিকাঁচাদের তাই পড়াশোনার জন্য যেতে হচ্ছে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে কাঠাঁলগুড়ি চা বাগান কিংবা নিউ ডুয়ার্স ডিভিশন চা বাগানের প্রাইমারি স্কুলে। শিক্ষা দফতরের তরফে অবশ্য আশ্বাস মিলেছে, খুব দ্রুত এই হয়রানির হাত থেকে রেহাই পাবে হাটখোলার পড়ুয়ারা।
দোষ-পাল্টা দোষারোপে থমকে স্কুলের কাজ। যার খেসারত দিতে হচ্ছে খুদে পড়ুয়াদের। কবে মিটবে তাদের এই দুর্ভোগ, কারোর কাছেই সেই উত্তর নেই।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Construction Stopped, North Bengal School, School Building Construction