#দার্জিলিং: তাঁর ডাকেই পাহাড়ে ফিরেছে বনধের রাজনীতি। মঙ্গলবার আরও একধাপ এগিয়ে জঙ্গি আন্দোলনের পথেও ফিরেছে মোর্চা। কিন্তু তিনি কোথায় ? খোঁজ নেই বিমল গুরুংয়ের। মোর্চার সদর দফতর, বাসভবন কোথাও দেখা মিলছে না মোর্চা প্রধানের। এমনকি, নিজে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেও সেখানে অনুপস্থিত গুরুং। যে কোনও মুহুর্তে গ্রেফতার হতে পারেন। এই আশঙ্কা থেকেই কি গা-ঢাকা দিয়েছেন মোর্চা প্রধান ? নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য উদ্দেশ্য।
সোমবার একবারের জন্যও তাঁকে দেখা যায়নি। মঙ্গলবারও ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকলেন বিমল গুরুং। প্রতিদিন নিয়ম করে জগিং করতে বেরোন। এই নিয়মের ব্যতিক্রম সাধারণত হয় না। গত দু-দিন ধরে সেটাও বন্ধ। কোথায় গেলেন গুরুং? রবিবার রাতের পর থেকে গুরুংয়ের দেখা মেলেনি মোর্চার সদর দফতরেও আসছেন না পাহাড়ের রাস্তায় সমর্থকদের উৎসাহ দিতেও হাজির থাকতেন তিনি গত ২ দিনে সেসব নিয়মই বদলে গিয়েছে গুরুং যে গ্রেফতার হতে পারেন, সেই সম্ভাবনা আগেই জানিয়েছে নিউজ ১৮ বাংলা। সোমবার মোর্চা প্রধানের বাসভবন পাতলেবাসের সামনেও পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশ। যদিও বিমল গুরুংয়ের দেখা মেলেনি। মঙ্গলবার জিমখানা ক্লাবে সর্বদলীয় বৈঠকেও অনুপস্থিত বিমল গুরুং। কোথায় মোর্চা প্রধান ? মুখ খুললেন না মোর্চা নেতারাও। যদিও মোর্চারই একটি অংশ মনে করছে, কৌশলগত কারণেই গা-ঢাকা দিয়েছেন গুরুং। আড়ালে থেকেই নিয়ন্ত্রণ করছেন আন্দোলনের গতিবিধি। গত ৮ জুন পাতলেবাসে বসে রিমোট কন্ট্রোলে আন্দোলন নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এবারও কি সেই একই কৌশল নিলেন মোর্চা প্রধান?