#শিলিগুড়ি: দার্জিলিঙের পর কালিম্পং থানায় বিস্ফোরণেও ইউএপিএ-সহ খুনের মামলার অভিযোগ দায়ের ৷ ঘটনায় বিমল গুরুং সহ মোর্চা শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে ৷
এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) জানিয়েছেন, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর সহ ১২০বি, ১২১, ১২১এ, ১২২, ৩২৬, ৩০৭, ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷ ৩/৪ বিস্ফোরক আইনেও মামলা হয়েছে ৷ অভিযুক্তের তালিকায় বিমল গুরুং, প্রকাশ গুরুং, প্রবীণ সুব্বা, বারুদ থাপা ও দাওয়া লেপচার মতো মোর্চা নেতার নাম রয়েছে ৷
কালিম্পং ও দার্জিলিঙে বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিআইডি-র বম্ব স্কোয়াড ৷ শুক্রবার দার্জিলিংয়ের মোটর স্ট্যান্ড এলাকার পর শনিবার রাতে কালিম্পং থানা। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে পাহাড়ে জোড়া বিস্ফোরণ। কালিম্পং থানা লক্ষ্য করে হ্যান্ড গ্রেনেড হামলা। গেটের সামনে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার রাকেশ রাউতের।
শুক্রবার দার্জিলংয়ে বিস্ফোরণ ছিল মহড়া। শনিবার রাতে কালিম্পং থানায় গ্রেনেড হামলার পর আরও জোরালো হল মোর্চার আন্দোলনে জঙ্গি মদত। শনিবারের বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। আহত এক পুলিশ কর্মী ও CRPF জওয়ান। পাহাড় পরিস্থিতি দক্ষ হাতে মোকাবিলা করছে পুলিশ। আলোচনায় সায় কেন্দ্র-রাজ্যের। আন্দোলনের রাশ হাতছাড়া হতেই কী তাই জঙ্গি মদতে হামলার নয়া কৌশল? ক্রমশ জোরাল হচ্ছে সেই তত্ত্বই।
দার্জিলিঙে আইইডি বিস্ফোরকের সঙ্গে জিলেটিন স্টিক ব্যবহার করেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ঘটনার অভিযুক্ত হিসাবে উঠে এসেছে বিমল গুরুং সহ ৩ শীর্ষ মোর্চা নেতার নাম। এদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ-সহ একাধিক ধারায় মামলা পুলিশের। এরই মধ্যে প্রতিহিংসার অভিযোগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে মোর্চা।