#কোচবিহার: এই গ্রামে ঢুকলেই অমল ও দইওয়ালার গল্পের কথা মনে পড়বে ৷ এক পা যেতে না যেতেই মুখোমুখি হতে হয় দইওয়ালাদের সঙ্গে। এই গ্রামের নাম দই গ্রাম ৷
কোচবিহার শহর থেকে বানেশ্বর, ঠিক ১২ কিলোমিটারের পথ। এরপর ঐতিহ্যবাহী শিবমন্দিরের পাশ দিয়ে ভাঙাচোরা রাস্তা ধরে ১০০ মিটার এগোলেই পড়বে বানেশ্বর গ্রাম। যেখানে পা ফেলতেই চারদিক ম ম করে দইয়ের গন্ধে।
মাঙ্গলিক কাজ হোক কিংবা ভোজনের শেষ পাত। বাঙালির মেনুতে প্রায় অপরিহার্য দই। কিন্তু কোচবিহারের এক ছোট্ট গ্রামের জীবনটিই দই নির্ভর ৷ বানেশ্বরের প্রায় সব মানুষের রুটি-রুজি আসে এই দই থেকেই। তাই এই গ্রাম আজ পরিচিত দই গ্রাম নামে। কারণ, এই গ্রামের প্রতি মানুষের জীবিকা দইয়ের ব্যবসা ৷
প্রায় ঘরে ঘরে চোখে পড়বে দইয়ের ভাটি। কড়াইয়ের পর কড়াইয়ে ফুটছে দুধ। রকমারি পাত্রে ঢালা হচ্ছে সেই দুধ। বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দুধ পরিণত হচ্ছে সুস্বাদু দইয়ে। যুগের পর যুগ এভাবেই বানেশ্বরের ঘরে ঘরে চলছে দই ব্যবসা। আজ বানেশ্বর গ্রাম পরিচিত দই গ্রাম নামে।
কিন্তু কীভাবে গ্রাম জুড়ে দই হয়ে উঠল প্রধান পেশা ? কোচবিহারের এই ছোট্ট গ্রামে শিল্প দূর অস্ত। একটা সময় মানুষ চাষের ওপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু ফসলের ঠিকঠাক দাম না পেয়ে অনেকেই কাজের সন্ধানে অন্যত্র পাড়ি দিতেন। সেভাবেই এই বানেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা ভানু পাল দঃ দিনাজপুরে দই কারখানায় কাজ শুরু করেন। পরে নিজের গ্রামে ফিরে এসেও শুরু করেন সেই কারবার। এভাবেই আজ বানেশ্বর গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে দই শিল্প। যা পৌঁছে যাচ্ছে ভিন রাজ্যের মানুষের কাছেও।
ব্যবসা ভাল হলেও, তা আরও উন্নতমানে নিয়ে যেতে সরকারি সাহায্যের দাবি তুলেছেন কেউ কেউ। যে সাহায্য মিললে দই শিল্পে আরও কর্মসংস্থান হবে বলে আশাবাদী তাঁরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coochbehar, Curd, Curd Business