#শিলিগুড়ি: অল্পের জন্যে রক্ষে পেল সদ্যজাত শিশুরা! উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আগুন লাগে মেডিকেলের এস এন সি ইউতে। অর্থাৎ কিনা নবজাতকদের চিকিৎসার বিশেষ ওয়ার্ডে। ওয়ার্ডে তখন চিকিৎসারত ছিল ৫৬টি শিশু। আচমকাই সিলিং ফ্যানের রেগুলেটরের শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে। মূহূর্তেই গোটা ওয়ার্ডে অন্ধকার নেমে আসে। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় ওয়ার্ড। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অভিভাবকরা। তড়িঘড়ি ৫৬টি শিশুকে দ্বিতলের শিশু বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়। কর্ত্যবরত চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা শিশুদের কোলে নিয়ে অন্য ওয়ার্ডে শিফট করে। হাত লাগায় অভিভাবিকারাও। হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তবে কেউই আহত হয়নি বলে দাবি মেডিকেল কর্তৃপক্ষের। সকালেও অভিভাবকদের চোখে মুখে ছিল আতঙ্কের ছাপ! অল্পের জন্যে প্রানে বেঁচে যায় শিশুরা। এস এন সি ইউ ওয়ার্ড থেকে দ্রুত বাইরে বের করা হয় একাধিক চিকিৎসার আধুনিক যন্ত্রাংশ। অভিভাবকদের কথায়, নবজাতকদের ওয়ার্ডে আরো বেশী কেয়ার নেওয়া উচিৎ কর্তৃপক্ষের। ভয়াবহ ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। এর আগেও সিসিইউ ওয়ার্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এদিন আগুন লাগার পরই খবর যায় দমকল কেন্দ্রে। মাটিগাড়া থেকে দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তার আগেই অবশ্য আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। মেডিকেলের একতলায় প্রসূতি বিভাগের পাশেই এস এন সি ইউ ওয়ার্ড। মেডিকেলের সুপার কৌশিক সমাজদার ওয়ার্ড পরিদর্শনে যান। তিনি জানান, প্রতি সপ্তাহেই বিল্ডিংয়ের ইলেক্ট্রিক ওয়্যারিংয়ের কাজ খতিয়ে দেখে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা। এক্ষেত্রে কারোরই কোনো গাফিলতি নেই। শিশুদের নিরাপদে অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করাও হয়েছে। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। দ্রুত তা সংস্কার করে ফিরিয়ে আনা হবে নবজাতকদের ওয়ার্ডে। সেইসঙ্গে নবজাতকদের চিকিৎসায় যাতে কোনো ত্রুটি না হয়, সেদিকেও সমান নজর দেওয়া হচ্ছে। তবে একাধীকবার উত্তরবঙ্গে মেডিকেলে আগুন লাগার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্থায়ী সমাধান কি এবারে বেরিয়ে আসবে? প্রশ্ন রোগীদের আত্মীয়দের।