#মালদা: জলস্তর নামতেই শুরু হয়েছে ভাঙন। মালদার মানিকচক ও কালিয়াচকে একটু একটু করে পার ভাঙছে গঙ্গার। ভাঙছে ঘর। তলিয়ে যাচ্ছে জমি জিরেত। গতরাত থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে। জলস্তর কমতেই পাড় ভাঙছে তিস্তা, জলঢাকা, গিলান্ডি,বিরকিটি নদীর। আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে পার সংলগ্ন বাসিন্দাদের। ভাঙন রোধে তৎপর প্রশাসন।
ভাঙন। চারদিকে শুধু ভাঙন। নদীর পার ভাঙছে। রেহাই নেই কারোর। যতদূর চোখ যায় শুধুই ধবংসের, হাহাকারের ছবি। প্রতি মূহূর্তে একটু একটু করে উদ্বাস্তু হওয়ার এই অভিজ্ঞতা নতুন নয়। তাই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন মালদহ, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের হাজার হাজার মানুষ।
জলপাইগুড়ি
ধূপগুড়িতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতেই শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। ভাঙছে জলঢাকা, গিলান্ডি, ডুডুয়া, বিরকিটি , কুমলাই নদীর পার। বাড়ছে আতঙ্ক। অনেকেই ঘর ছেড়ে রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন। জলঢাকা নদীর জল ঢুকে পলি পড়ে বারোঘড়িয়ায় দু হাজার বিঘের মত ধান খেত নষ্ট হয়ে গেছে।
আলিপুরদুয়ার
বিরকিটি নদীর পার ভেঙে জল ঢুকছে ফালাকাটা, জয়চাঁদপুর, গোকুলনগর ,বালাসুন্দর-সহ বিভিন্ন গ্রামে। আতঙ্কে পারের বাসিন্দারা।
কোচবিহার
কোচবিহার শহরের পিছন দিয়ে বয়ে গেছে তোর্সা। জল কমতেই পার ভাঙতে শুরু করেছে তোর্সার। ভাঙনের জেরে ইতিমধ্যেই ষোল ও আঠার নম্বর ওয়ার্ডের শতাধিক বাড়ি নদী গর্ভে চলে গেছে। বাড়িঘর অন্যত্র সরাতে শুরু করেছেন বহু বাসিন্দা।
মালদহ
গঙ্গার ভাঙনে বিপর্যস্ত মালদহের বিস্তীর্ণ এলাকা। গঙ্গার ভাঙন শুরু হয়েছে মানিকচকের উত্তরচণ্ডীপুর ও হীরানন্দপুরে। কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের পারদেওনাপুর ও শোভাপুরেও পার ভাঙছে গঙ্গার। মানিকচকের ভূতনিতে নদী ক্রমশ পারের গিকে এগিয়ে রিং বাঁধের অনেকটা অংশ গ্রাস করেছে। তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, মন্দির,কৃষিজমি। নদীর ধারে বালির বস্তা , বাঁশ দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।
প্রতি বছর বর্ষায় নতুন করে উদ্বাস্তু হয় মানুষ। জমি, ঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে দিন কাটে। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। পূরণের চেষ্টাও হয় হয়ত । তবুও ভাঙন আটকানো যায়না। রাতে চোখের পাতা এক করতে পারেন না বাসিন্দারা। এই বুঝি তেড়ে এল গঙ্গা।