#শিলিগুড়ি: এ কেমন বর্ষ বরণের সকাল! শুনশান চারপাশ! দেখা নেই বর্ষ বরণের প্রভাত ফেরির। রবীন্দ্র সঙ্গীতের আবহ নেই। নেই রবীন্দ্র সঙ্গীতের তালে নৃত্য পরিবেশন৷ লাল পেড়ে শাড়ি পড়ে রাস্তায় দেখা নেই কচিকাঁচা থেকে সব বয়সী মেয়েদের। নতুন পাঞ্জাবী পড়ে সব বয়সী ছেলেদেরও দেখা নেই রাস্তায়।
করোনার থাবায় এক অন্য বর্ষ বরণের সকাল দেখল শিলিগুড়ি! মিষ্টির দোকানে ভিড়ও তেমন চোখে পড়েনি। মাছ, মাংসের দোকানেও দেখা নেই থিক থিক ভিড়ের। নেই কোনো হুড়োহুড়িও। বর্ষ বরণ মানেই বাঙালির পরনে নতুন জামা কাপড়। মন্দিরে পুজোর্চনা। আর বাড়ি ফিরে কব্জি চুবিয়ে দেদার খাওয়া দাওয়া। শেষ পাতে রসকদম, পানতুয়া বা খিড়ের সিঙারা। না, এবারের ছবিটা একেবারেই আলাদা।
লকডাউনের জেরে বন্ধ দোকানপাট। ধু ধু করছে বিধান মার্কেট থেকে হকার্স কর্ণার। শেঠ শ্রীলাল মার্কেট থেকে নিবেদিতা মার্কেট। আর তাই অনেকেরই গায়ে ওঠেনি নতুন বস্ত্র। মন খারাপ বাঙালির। চুপিসারে ১৪২৭ সালকে বরণ করলো শহর শিলিগুড়ি। করোনা সতর্কতায় বন্ধ আনন্দময়ী কালি বাড়ি থেকে মায়ের ইচ্ছে কালি বাড়ির দরজা। যেখানে সাত সকাল থেকেই মন্দিরে মন্দিরে লম্বা লাইন পড়ে যায় ভক্ত থেকে দোকানিদের। হালখাতা করতে ভিড় জমতো মন্দিরের দরজায়। আজ সবই ফাঁকা। পুজো হল আচার, রীতি মেনেই। ভক্তরা মন্দিরের দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে। পুরোহিত পুজো করে পুষ্পাঞ্জলী তুলে দেন দোকানি থেকে ভক্তদের হাতে। এমন বাংলা নববর্ষ আগে কখোনই দেখেনি কেউই। যেখানে মন্দিরগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা যেত। আজ খাঁ খাঁ করছে মন্দির প্রাঙ্গন। একই অবস্থা শহরের বিভিন্ন ক্লাবের মাঠেও। করোনার জেরে হল না কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের বার পুজো। অধিকাংশ ক্লাবের বার পুজোই আজ হয়নি। ফুটবল মরসুমের সূচনা হয় এই বার পুজোর মধ্য দিয়ে। তবে দাদাভাই ক্লাবের মাঠে বার পুজো হল হাতে গোনা কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona Virus, COVID-19, Lockdown, Siliguri