#মালদহ: মুর্শিদাবাদ, মালদহ বা উত্তরবঙ্গের আসন নিয়ে আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা হচ্ছে না জোটের। মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর জেলার আসনগুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই বাম-কংগ্রেসের সমঝোতা হয়ে গিয়েছে। বুধবার মালদহে এমনই ইঙ্গিত দিলেন সুজাপুরের কংগ্রেস বিধায়ক ইশা খানচৌধুরী। তিনি বুধবার বলেন, আব্বাসের শক্তি মূলত দক্ষিণবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গে প্রায় একশো আসনে এখনো বাম-কংগ্রেসের জোট চূড়ান্ত হয়নি। যতটুকু জানি তাতে সেইসব আসন নিয়ে আব্বাসের সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
দিন কয়েক আগে মালদহের কালিয়াচকের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে মালদহ জেলার ১২টি আসনের মধ্যে অন্তত ছ'টি আসনে একক প্রার্থী দেওয়ার কথা বলেছিলেন আব্বাস সিদ্দিকী। জোট না হলে এককভাবে মালদহে অন্তত ৬ আসনে লড়বেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। মালদহে ফুরফুরা শরীফের অনেক অনুগামী রয়েছেন। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মধ্যে মালদহে সবচেয়ে বেশি সফল হয় বাম-কংগ্রেসের জোট। জেলার ১২ বিধানসভা আসনের মধ্যে ১১টিতেই জেতে জোট প্রার্থীরা। এই অবস্থায় বাম- কংগ্রেসের সঙ্গে সেকুলার ফন্টের সমঝোতা হলে মালদহের কোনও আসন সেকুলার ফ্রন্ট পাবে কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে জল্পনা।
এ বিষয়ে মুখ খোলেন সুজাপুরের কংগ্রেস বিধায়ক তথা কোতোয়ালি পরিবারের সদস্য ইশা খান চৌধুরী। একইসঙ্গে তিনি বলেন, আসন সমঝোতার বিষয়টি দেখছে হাইকম্যান্ড। সেকুলার ফন্টের সঙ্গে আলোচনা ভালভাবেই এগোচ্ছে। আশা করা যায় দ্রুত জোটের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যাবে। দিন কয়েক আগে ফুরফুরা শরীফের আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কোতোয়ালি পরিবারের দুই সদস্য মালদহ জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ আবু হাশেম খান চৌধুরী এবং সুজাপুরের কংগ্রেস বিধায়ক ইশা খান চৌধুরী। যদিও সে সময় উভয় পক্ষই জানান তাঁদের মধ্যে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। শুধুমাত্র সৌজন্য বিনিময় এর জন্যই সাক্ষাৎ হয়।
কোতোয়ালি পরিবারের সঙ্গে ফুরফুরা শরীফের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। মন্ত্রী থাকাকালীন ফুরফুরা শরীফের বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেন গনি খান চৌধুরী। তবে সমঝোতা হলে মালদহে আব্বাসের সেকুলার ফ্রন্টকে কোনও আসন ছাড়া হবে কী না তানিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে ঈশা খান চৌধুরীর এ দিনের বক্তব্য।
Sebak DebSarma
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।