Sebak DebSarma
#মালদহ: ঝাঁ চকচকে নতুন ব্রীজ কার্যত শুনশান। আর সাইকেল বা মোটরবাইকসহ নৌকো বোঝাই করে নদীতে চলছে যাত্রী পারাপার। এ ছবি মালদহের ভূতনী সেতুর। কারণ, ব্রীজের অ্যাপ্রোচ রোডের বেহাল দশার জন্য জল, কাদা পেরিয়ে ব্রীজে পৌঁছতে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়ছেন মানুষ। ফলে বহু কোটি টাকা খরচে তৈরি ভূতনী সেতুর সুবিধে মিলছে না।
মালদহ মানিকচকের সঙ্গে ভূতনী চর’কে সংযুক্ত করতে নতুন সরকারের আমলে ১৩২ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হয় বহু প্রতীক্ষিত ভূতনী সেতু। উত্তরবঙ্গের অন্যতম বৃহৎ এই সেতুর উদ্বোধন হয় গত ১৯ নভেম্বর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। কিন্তু, এরপর ছয় মাস কেটে গেলেও ব্রীজের অ্যাপ্রোচ রোড বেহাল। বর্ষায় প্রায় তিনশো মিটার অ্যাপ্রোচ রোডের হাল এতটাই খারাপ যে সাইকেল, মোটরবাইক, ছোট গাড়ি এমনকি পথচারীরাও ব্রিজে উঠতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে বর্ষার মরশুমে ঝুঁকি নিয়ে নৌকোয় ফুলহার নদী পেরতে হচ্ছে।
মালদহের ভূতনী থানার তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতে দুই লক্ষেরও বেশী মানুষের বসবাস। জেলাশহর মালদহ বা ব্লক সদর মানিকচকে যাতায়াতের জন্য ভূতনীবাসীর ভরসা এই সেতু। দৈনিক হাজার হাজার মানুষকে বিভিন্ন প্রয়োজনে এই সেতু ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু, এ বার বর্ষার শুরুতেই অ্যাপ্রোচ রোডের অবস্থা চলাচলের অযোগ্য। অনেক এলাকাতেই হাঁটু সমান জল, কাদা। ফলে সেতুতে ওঠাই কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় ঝুঁকির নৌকা যাত্রাকেই অপেক্ষাকৃত সহজ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তাই ব্রিজের পাশ দিয়েই চলছে নৌকোর অবাধ যাতায়াত।
এ দিকে সেতু তৈরি হলেও অ্যাপ্রোচ রোড ব্যবহার করতে না পারলে সাধারণ মানুষের কী লাভ হচ্ছে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক মোক্তাকিন আলম। পাল্টা অভিযোগ তুলে মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড়চন্দ্র মণ্ডল বলেছেন, নতুন সরকার ভূতনী সেতু তৈরি করেছে। অথচ বিরোধীরা এ নিয়ে রাজনীতি করছেন। তবে সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত অ্যাপ্রোচ রোড চলাচলের উপযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Approach road, Bhutni bridge, Maldah