#মালদহ: দুই নাবালিকা কন্যা সন্তানকে পুকুরের জলে ডুবিয়ে 'খুনের' অভিযোগ। মায়ের বিরুদ্ধে দুই সন্তানকে খুনের অভিযোগ। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া-বিবাদের বলি দুই নাবালিকা বোন। মালদহের চাঁচল থানার অনুপ নগর এলাকার ঘটনা। ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। মৃত দুই নাবালিকার মা,বাবা,ও দিদাকে আটক করেছে পুলিশ। মৃত মাধবী মন্ডল, বয়স ৯ এবং জয়শ্রী মন্ডলের বয়স ৮।
জানা গিয়েছে, আর্থিক অনটন নিয়ে পরিবারের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝে মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ চলত। ওই দুই নাবালিকার বাবা পেশায় দিনমজুর। শনিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা হয়। অভিযুক্ত মা মাম্পি মন্ডল আংশিক মানসিক ভারসাম্যহীন। রাতে বচসার পর পরিবারের লোকজনকে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে বাড়ির কিছু দূরে একটি পুকুরে দুই মেয়ের দেহ উদ্ধার হয়। পুকুরের পাশ থেকে আটক করা হয় মা মাম্পি মন্ডলকে। পরিবারের কর্তা চঞ্চল মন্ডল দাবি করেন, স্ত্রীর মানসিক সমস্যা ছিল। তাঁর চিকিৎসাও করা হয়। রাতে পারিবারিক বচসা হয়। সকালে পুকুর থেকে উদ্ধার হয় দুই মেয়ের দেহ। তার দাবি, স্ত্রী দুই মেয়েকে পুকুরের জলে ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারে এমনটা কল্পনাও করতে পারেননি তিনি। সাতসকালে এমন মর্মান্তিক ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে অনুপ নগর এলাকায়। খবর পেয়ে চাঁচল থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এলাকায় পৌঁছয়।
জনরোষ ঠেকাতে পরিবারের বাবা মা সহ অন্যান্যদের চাঁচোল থানা নিয়ে যায় পুলিশ। তবে মেয়েদের পুকুরের জলে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি মা মাম্পি। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই দুই নাবালিকার বাবা , মাকে জিজ্ঞাসা করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মানসিক অবস্থা স্বাভাবিক হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে দুই নাবালিকার মাকে। উত্তেজনা থাকায় এলাকায় পুলিশ -পিকেট রাখা হয়েছে। মৃত দুই নাবালিকা বোন স্থানীয় স্কুলে প্রাথমিকের পড়ুয়া ছিল। ঘটনার পিছনে বাবার ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।