#মালদহ: করোনা আতঙ্কে বাড়ি ফিরেছিলেন। রাজ্যে নিয়মিত কাজ না মেলায় ফের ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন মালদহের পরিযায়ী শ্রমিকেরা ভিন রাজ্যে কাজকর্ম শুরু হতেই মালদহে শ্রমিকদের ফেরাতে নিঃখরচায় বাস, এমনকি লোভনীয় বিমান যাত্রার অফার দিচ্ছে একাধিক বেসরকারি ঠিকাদারি সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে নিয়মিত কাজ আর বাড়তি রোজগারের জন্যই পরিজনদের ছেড়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন পরিযায়ীরা। করোনা আবহে ওদের ট্রেন ভাড়া দিয়ে বাড়ি ফিরিয়েছিল সরকার। খাদ্যের সংস্থানের জন্য ‘স্নেহের পরশ’ প্রকল্পে চালের ব্যবস্থা। আর ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজের নিশ্চয়তা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে নিয়মিত কাজের ব্যবস্থা হয়নি। 'স্নেহের পরশ' প্রকল্পে সরকারি খাদ্যশস্য না পেয়ে একাধিক জায়গায় ব্লক অফিস থেকে পঞ্চায়েতে পরিযায়ীদের বিক্ষোভ হয়েছে। আবার ১০০ দিন প্রকল্পে কাজ পেলেও সপ্তাহে দুই বা তিনদিনের বেশি কাজ জোটেনি। এই অবস্থায় ফের ভিন রাজ্যের ডাকে পা বাড়াচ্ছেন মালদহের ঘরে ফেরা পরিযায়ীরা।
এদের কাজে ফেরাতে আবার লোভনীয় বিমান যাত্রার অফার দিচ্ছে বিভিন্ন ঠিকাদার গোষ্ঠী। লকডাউনে ট্রেন যোগাযোগ পুরোপুরি চালু না হওয়ায় মালদহ থেকে কলকাতা পর্যন্ত নিঃখরচায় বিশেষ বাস। এরপর কলকাতা থেকে বিভিন্ন রাজ্যে শ্রমিকদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিমান যোগে। মালদহের গাজোলের একদল শ্রমিক এভাবেই পাড়ি দিলেন সুদুর বেঙ্গালুরুতে। একই সঙ্গে মিলল জীবনে প্রথমবার বিমান যাত্রার সুযোগ। কিন্তু কেন ফের পরিজন ছেড়ে দূর দেশে যাওয়া ? মালদহ থেকে প্রতিদিনই শ্রমিকদের ফের ভিন রাজ্যে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন গাজোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রেজিনা পারভিন। তাঁর দাবি, পরিযায়ীরা অনেকেই শিল্প কারখানায় বা অন্যান্য সেক্টরে মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করেন। ১০০ প্রকল্পে মাঠে কোদাল দিয়ে মাটি কাঁটার কাজে এরা অনেকেই অভ্যস্ত নন। এজন্য স্বাভাবিক অনিহা তৈরি হচ্ছে । আবার ১০০ দিনের কাজ প্রতিদিন না হওয়ার ফলেও অনেকে প্রত্যাশিত রোজগার করতে পারছেন না। এজন্যই সরকারি চেষ্টা সত্ত্বেও ভিন রাজ্যে ফেরত সকলকে ধরে রাখা যাচ্ছে না।
সেবক দেবশর্মা