#শিলিগুড়ি: হাসপাতালের মেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডের বাথরুম থেকে উদ্ধার রোগীর ঝুলন্ত দেহ। মৃত রোগীর নাম সুরজিৎ চক্রবর্তী। মর্মান্তিক এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ উঠেছে। ১৯ ডিসেম্বর পেটে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে একাই আসেন সুরজিৎ। তাঁকে ভর্তি করে নেওয়া হয়। এরপর খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে পৌঁছন। গতকালও পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথাও বলেন। আজ সকালে মৃতের মা এসে দেখেন ১৬ নম্বর বেড, যেখানে রোগী ভর্তি ছিলেন তা ফাঁকা।
মৃতের পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, পেশায় নিরাপত্তারক্ষী সুরজিৎ মাস চারেক ধরে বাড়িতে থাকতেন না। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কর্তব্যরত স্বাস্থ্য কর্মীদের উপস্থিতিতে কীভাবে হাসপাতালের বাথরুমে রোগী আত্মহত্যা করল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পারিবারিক অশান্তি নাকি মানসিক অবসাদের জেরে এই ঘটনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও ঘটনার পৃথক তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন: বিজেপি ভোকাট্টা, সিপিএম নো পাত্তা! কলকাতা জয় করে কামাখ্যা চললেন মমতা...
ধূপগুড়িতে মানসিক অবসাদগ্রস্ত ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
অন্যদিকে, এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল ধূপগুড়ি পুর এলাকার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। মৃত ব্যক্তির নাম রতন বসাক। একটি বীমা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন রতন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দীর্ঘ আট বছর থেকে মানসিক রোগে ভুগছিলেন রতন। মঙ্গলবার সকালে রতনের স্ত্রী তাঁদের ছেলেকে স্কুলে দিতে যান। ফিরে এসে স্বামীকে শোওয়ার ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় ধূপগুড়ি থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়িতে পাঠায়। প্রাথমিকভাবে রতনের মৃত্যু আত্মহত্যা বলেই মনে করছে পুলিশ।
Partha Sarkar
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।