শিলিগুড়ি: নতুন বাংলা বর্ষের সূচনা। শিলিগুড়ি পুরসভার উদ্যোগে ১৪৩০কে বরণ করে নেওয়া হল হাজার কণ্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীতের মধ্য দিয়ে। "এসো হে বৈশাখ"-এর সুর তুললেন মেয়র গৌতম দেব। সঙ্গে অন্য শিল্পীরা। একসুরে বৈশাখী বন্দনা। সামনে তখন নৃত্য পরিবেশন করছেন অন্য শিল্পীরা। শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে হাজার কণ্ঠে গান মাতিয়ে দিল গোটা শহরকে। তার আগে শহর পরিক্রমা করলো বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা।মাদলের তাল, ঢাকের আওয়াজ, ঘোড়ার গাড়ি সবই ছিল। হাঁটলেন মেয়র-সহ মেয়র পারিষদ, কাউন্সিলরেরা। পা মেলালেন শহরের শিল্পীরা, কচিকাঁচারাও। পুরসভার উদ্যোগে দিনভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাঘাযতীন পার্কের সামনে শহরের চিত্র শিল্পীরা আলপনায় রাঙিয়ে তোলেন।
আরও পড়ুন: পাথরপ্রতিমায় নতুন উদ্যোগ! জলের সমস্যা দূর করতে শুরু জলস্বপ্ন প্রকল্প
আরও পড়ুন : ‘হালখাতা’ কথাটার মানে কী? পয়লা বৈশাখেই বা কেন এই রীতি পালিত হয়, জানুন
বাংলা নববর্ষ মানে গায়ে নতুন জামাকাপড়। সকাল সকাল মন্দিরে পুজো দেওয়ার ধুম। শিলিগুড়ির মায়ের ইচ্ছা কালিবাড়িতে লম্বা লাইন ভক্তদের। ব্যবসায়ীরা পুজো দিয়ে হালখাতার সূচনা করেন। তারপর দোকানে পুজার আয়োজন। সব মিলিয়ে উৎসবের আবহ শহরজুড়ে। শহরের অন্য কালি মন্দিরগুলোতেও একই ছবি। ভক্ত সমাগমে জমজমাট মন্দির চত্বর। আনন্দময়ী কালিবাড়িতে পুজো দিলেন মেয়র গৌতম দেব।অন্য দিকে, এ দিনই যজ্ঞের আয়োজন বিজেপির। উত্তরবঙ্গের অহঙ্কার এখানকার পাহাড়, নদী, চা বাগান, জঙ্গল। যার টানে দেশ, বিদেশের পর্যটকেরা ছুটে আসেন এখানে। সেখানে উত্তরের জঙ্গল, চা বাগান, নদী আজ সুরক্ষিত নয়। নদীর বুকে তৈরী হয়েছে বেআইনি ক্রাশার। জঙ্গল কেটে তৈরি হচ্ছে আবাসন প্রকল্প। তারই প্রতিবাদে বাংলা বছরের প্রথম দিনে যজ্ঞ করলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Poila Baisakh, Siliguri