হোম /খবর /উত্তরবঙ্গ /
অঘোরে ঘুমচ্ছিল পরিবার, হঠাৎ বিধ্বংসী আগুন... এক লহমায় সব শেষ!

অঘোরে ঘুমচ্ছিল পরিবার, হঠাৎ বিধ্বংসী আগুন... এক লহমায় সব শেষ!

বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই সর্বস্ব। প্রতীকী ছবি

বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই সর্বস্ব। প্রতীকী ছবি

কৃষি ঋণ পরিশোধের জন্য জমানো লক্ষাধিক টাকা পুড়ে ছাই। মাথায় হাত কৃষক পরিবারের।

  • Share this:

সেবক দেবশর্মা, মালদহ: রাত শেষে ভোর বেলায় জীবনে এমন অন্ধকার দিন ঘনিয়ে আসবে তা যেন স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি কৃষক পরিবার। তিল তিল করে জমিয়েছিলেন কৃষি ঋণ পরিশোধের প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। আগুনে পুড়ে ছাই সেই টাকা। ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে যাবতীয় আসবাবপত্র। অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্ব খুইয়ে দিশেহারা কৃষক পরিবার। ভোররাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা মালদহের চাঁচোল থানার খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর গ্রামে।

জানা গিয়েছে, এলাকায় কৃষক পরিবার জুবেদ আলির বাড়িতে আগুন লাগে। ভোররাতে জুবেদ আলী সহ পরিবারের সদস্যরা ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন। সেইসময় হঠাৎই আগুন লাগে বাড়িতে। গৃহকর্তা জুবেদ আলি আগুন টের পেতেই পরিবারের লোকজনকে কোনওরকমে উদ্ধার করেন। আগুন লেগেছে বুঝতে পেরে সাহায্যে এগিয়ে আসেন পরিজন ও প্রতিবেশীরা। এলাকার গভীর নলকূপ থেকে জল এনে আগুন নেভানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা।

আরও পড়ুন: শুধু 'চাকরি বিক্রি'-ই নয়, 'বদলি বিক্রি'-ও করতেন তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়, বলছে ED

শেষপর্যন্ত ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।  পাশাপাশি আগুন ছড়াতে পারেনি। কিন্তু, ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে জুবেদ আলির পরিবার। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই ফসল বিক্রি করে জমানো নগদ প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা, সোনার গয়না, টিভি, ফ্রিজ, আলমারি, খাট, শোকেস সহ যাবতীয় আসবাবপত্র পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। সবমিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ কয়েক লক্ষ টাকা।

 ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জুবেদ আলি জানান, কৃষি কাজের জন্য ব্যাংক থেকে দুই লক্ষ টাকা ঋণ নিতে হয়েছিল। পাট ও সরষে বিক্রি করে টাকা জোগাড় করে ঋণ পরিশোধের  জন্য ঘরে রাখা হয়েছিল। কিন্তু, এভাবে আগুনে সবকিছু ছারখার হয়ে যাবে তা কল্পনা করতে পারিনি। এলাকার বাসিন্দা বাটুল আলী বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ফলে পরিবারটির সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়েছে। নগদ টাকা থেকে গৃহ সামগ্রী কোনও কিছুই বাঁচানো যায়নি। বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুন বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। প্রশাসনিক সাহায্য না পেলে পরিবার চরম সমস্যায় পড়বে।

Published by:Rachana Majumder
First published:

Tags: Fire