#রকি চৌধুরি, ধূপগুড়ি: ধর্নাতেই এল সাফল্য। অবশেষে চার হাত এক হল ধূপগুড়ি ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। মানুষের মধ্যে উল্লাস। আজ বৌভাত সঞ্জিতের বাড়িতে।
ধূপগুড়ি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সঞ্জিত রায়। প্রেমিকার ছবি বুকে নিয়ে তাঁর বাড়ির সামনে নিয়ে ধর্নায় বসেছিলেন সোমবার। প্রেমিকা লক্ষ্মী রায়কে বিয়ে করার দাবিতে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে নাছোড়বান্দা সঞ্জিত প্রেমিকার বাড়ির সামনে ঠায় বসে থাকেন। হয়তো তাতেই মন গলে যায় লক্ষ্মীর।
ধর্নায় বসে দাবি আদায় করে ছাড়লেন ধূপগুড়ির সঞ্জিত রায়। এর আগেও ধূপগুরি কলেজ পাড়া এলাকায় কয়েক বছর আগে একইভাবে ধর্নায় বসে লিপিকা এবং অনন্তর চার হাত এক হয়েছিল।
আরও পড়ুন- বীভৎস দুর্ঘটনা, থেঁতলে গেল বাসের মাথা, ছবি দেখলে গায়ে কাঁটা দেবে
সোমবার তুমুল বৃষ্টির মধ্যেই প্রেমিকা লক্ষ্মী রায়কে বিয়ে করলেন সঞ্জিত। বলা ভাল, সঞ্জিতের নাছোড়বান্দা মেজাজ দেখে তাঁর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে বাধ্য হলেন লক্ষ্মীর বাবা।
সোমবার সকালে অদ্ভুত দৃশ্য দেখতে পান ধূপগুড়ি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা ঠান্ডুর বাড়ির সামনে তাঁর মেয়ে লক্ষ্মীর ছবি বুকে নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় সঞ্জিতকে।
তাঁর দাবি, প্রায় ছ’বছর ধরে লক্ষ্মীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক। এখনও তাঁদের মধ্যে নিয়মিত কথাবার্তা চলে। সঞ্জিতের বক্তব্য, সম্প্রতি লক্ষ্মীর অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছিল তাঁর পরিবার। এর পরেই লক্ষ্মী সঞ্জিতকে বলেন, তাঁকে বাড়ি থেকে নিয়ে যেতে।
সঞ্জিত ও তাঁর পরিবারের তরফে লক্ষ্মীর সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয় ঠান্ডুকে। কিন্তু ঠান্ডু মেয়ের বিয়ে অন্যত্র দেওয়ার জন্য ধনুকভাঙা পণ করে বসেছিলেন বলে সঞ্জিতের অভিযোগ। এর পরই প্রেমিকার বাড়ির সামনে তাঁর ছবি বুকে রেখে ধর্নায় বসে পড়েন সঞ্জিত।
সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মেজাজও বদলাতে থাকে লক্ষ্মীর বাবা ঠান্ডুর। আশপাশের বাসিন্দা, এলাকার পঞ্চায়েত এবং মেয়ে বাড়ির এলাকার কাউন্সিলরের মধ্যস্থতায় অবশেষে বরফ গলে। স্থির হয়, ওই রাতেই সঞ্জিত আর লক্ষ্মীর চার হাত এক করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- পুলিশের গাড়ি দেখেই ভয়ে দৌড়, মালদহে প্রৌঢ়ের মর্মান্তিক পরিণতি
তড়িঘড়ি বিয়ের আয়োজন করা হয়। পাত্র-পাত্রীর মালাবদল হয়ে যায় ওই রাতেই। আর আজ মঙ্গলবার আয়োজন করা হয়েছে বৌভাতের। সঞ্জিত রায় বলেন, আগেই বিষয়টি মেনে নিলে আমাকে ধর্নায় বসতে হতো না। দুই পরিবারকে একজায়গায় নিয়ে এসে সবাই মিলে ভালো থাকার ব্যবস্থা করাটাই হবে এখন আমাদের দুজনের আসল কাজ।
লক্ষ্মীর চোখে অবশ্য জল। এই আকস্মিক বদলে কিছুটা হকচকিয়ে যাওয়া লক্ষ্মী বলেন, ‘এমনটাই চাইছিলাম। কিন্তু এমনভাবে হোক সেটা চাইনি। হয়তো বাবা মায়ের মনে আজ আঘাত দিয়ে ফেললাম।'
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Dhupguri, Love Story