#দার্জিলিং: উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবী নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতোর! এখনও নিজের দাবিতেই অনড় বিজেপির আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা। দলীয় নির্দেশের পরও নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেননি তিনি। দলের কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে দার্জিলিং যাচ্ছেন বার্লা। বৃহস্পতিবার দার্জিলিংয়ের রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে এ বিষয়ে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। কিন্তু উত্তরবঙ্গকে যে অশান্ত করা যাবে না, এবং বঙ্গভঙ্গের কোনও চেষ্টা করে যে লাভ হবে না, তা বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলা ভাগ করার চক্রান্ত যেভাবে হচ্ছে, তা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। উত্তরবঙ্গের জেলা শাসক, পুলিশ সুপারদের এলাকায় নজরদারি করার নির্দেশ দিয়ে এমনই বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের উত্তরবঙ্গের জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি প্রশাসনের কর্তাদের উদ্দেশে বলেন, 'আপনাদের কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। বিষয়টির উপর আপনারা নজর রাখুন। কোথাও কিছু হলে সঙ্গে সঙ্গে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।' কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তৃণমূল নেতা প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, 'বিজেপি সাংসদের এই দাবি আদপে উত্তরবঙ্গকে অশান্ত করার চেষ্টা। এটা বিজেপির গেম প্ল্যান। আগে মাঝেমধ্যেই উত্তরবঙ্গে রাজনৈতিক অশান্তি লেগেই থাকত। এখন পাহাড়, তরাই এবং ডুয়ার্স শান্ত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের চেষ্টায় শান্তি ফিরেছে উত্তরে। নির্বাচনে হেরে ফের উত্তরবঙ্গে অশান্তি ছড়ানোর ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। বঙ্গ ভঙ্গ নিয়ে বিজেপির দলীয় স্ট্যাণ্ড এক আর দলের অর্বাচীন সাংসদ, বিধায়কদের মত এক। আর ওদের সঙ্গেই প্রতিনিয়ত শলা পরামর্শ করছেন রাজ্যপাল। দলবল নিয়ে রাজ্যপাল এখন এসেছেন দার্জিলিংয়ে। রাজভবনটিকে বিজেপির শাখা অফিস হিসেবে পরিণত করেছেন। সমস্ত বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলছেন।'
তাঁর সংযোজন, 'উত্তরের ৮জনের মধ্যে ৭ জন সাংসদ রয়েছেন বিজেপির। গত ২ বছরে এলাকার উন্নয়নে সাংসদরা কী কাজ করেছেন? উলটে এখন শান্ত উত্তরবঙ্গকে অশান্ত করতে চাইছেন। আর বাংলা ভাগের প্রশ্ন নেই। রাজ্যের মানচিত্রের এক ইঞ্চি পরিবর্তন হবে না। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই হবে। ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় পথে নেমেছেন তৃণমূল কর্মীরা।'
বৃহস্পতিবার দার্জিলিংয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর জন বার্লা কী বলেন, সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। এই ইস্যুতে রাজভবন থেকে রাজ্যপালের প্রতিক্রিয়ার দিকেও তাকিয়ে রাজ্য রাজনীতির কুশিলবরা। তবে রাজ্য যে বঙ্গ ভঙ্গ নিয়ে কোন উসকানিমূলক মন্তব্য বরদাস্ত করবে না, তা আজ পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ির জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।