#রায়গঞ্জ: ভোট প্রচারে রায়গঞ্জে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি-গান্ধিজিকে সামনে রেখে 'বিশ্বাসঘাতক' দলত্যাগীদের নতুন পাঠ পড়ালেন মমতা। বললেন, 'আদর্শ নেতা কেমন হবে'। দিল্লিকে ফের একবার রায়গঞ্জের সভা থেকে কড়া ভাষায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণ, 'বাংলাকে দখল করতে দেব না।' বুধবার সভামঞ্চে উঠেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া দলত্যাগী নেতাদের কটাক্ষ করেন মমতা। তাঁর কথায়, 'যাঁদের সুযোগ দিয়েছিলাম তাঁরা গুছিয়ে নিয়ে তৃণমূল থেকে পালিয়েছে।'
শুভেন্দু অধিকারী, তাঁর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের মতো তৃণমূলত্যাগীদের উদ্দেশ্যে নাম না করে মমতার কটাক্ষ, 'রাজনীতিতে লোভী-ভোগী-ত্যাগী রয়েছে। যাঁরা লোভী তাঁদের বাদ দিন। ভোগীদের ঘরে থাকতে দিন। ত্যাগীদের কাজ করতে দিন। নিজেকে মুখ্যমন্ত্রী ভাবি না। কেউ যদি মনে করে অনেক বড় নেতা, তাঁকে একাই থাকতে হবে। মনে রাখবেন টাকার থেকে মানবিকতার দাম অনেক বেশি। যাঁরা খারাপ তাঁরা দল থেকে পালিয়েছে, আমি খুশি, আমি বেঁচে গিয়েছি।'
এর পাশাপাশি নিজের দলের কর্মী-সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা করতে এদিন আওয়াজ তোলেন মমতা। তাঁর কথায়, 'সবাইকে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। তৃণমূল কর্মীদের মাথা উঁচু করে থাকতে হবে। তৃণমূল কর্মীরা মানুষের সেবক।' এদিন মমতা দাবি করেন, 'বিজেপির আমার উপর অনেক রাগ। আমাকে সরিয়ে দিতে হবে যে করেই হোক। মনে রাখবেন চক্রান্ত চলছে আমাকে সরানোর।
রায়গঞ্জের সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা। তিনি বলেন, 'ধর্মকে ভালোবাসতে হলে আগে মানুষকে ভালোবাসতে হয়। বিজেপি দাঙ্গাবাদ দল। যারা খুন করে তাঁদের মুখে ধর্মের কথা মানায় না। বিজেপি শুধু মিথ্যে কথা বলে। বিজেপি বলছে বাংলায় মেয়েরা রাস্তায় বেরোতে পারেন না। উত্তরপ্রদেশে পারে? সেখানে তো মেয়েরা, ছাত্রীরা বেরোতে পারে না। সাংবাদিকরাও বেরোতে পারে না। এই বাংলাতে কোনও দাঙ্গা-অশান্তি করতে দেব না।'
সভার শেষে এদিন স্বমহিমায় স্লোগান তুলে ফের একবার মঞ্চে হুঙ্কার তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেকে তৃণমূল কংগ্রেসের 'পাহারাদার' বলে ব্যাখ্যা দিয়ে তাঁর উপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখার আবেদন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।