#রায়গঞ্জ: কোন কেন্দ্রে কে প্রার্থী? ভোট যত এগোচ্ছে ততই বাড়ছে জল্পনা। মমতা এই সব জল্পনার অবসান ঘটালেন এক কথায়।রায়গঞ্জের জনসভা থেকে তিনি বলেই দিলেন, এই ভোটটা আমার ভোট। বুঝিয়ে দিলেন ২৯৪ কেন্দ্রে প্রার্থীমুখ তিনিই। ভোট চাইলেন ব্র্যান্ড মমতাকে সামনে রেখে।
এ দিন রায়গঞ্জে শুরু থেকেই চড়া মেজাজে ছিলেন মমতা। দলত্যাগীদের বারংবার কটাক্ষ করছিলেন তিনি। তুলে আনছিলেন তারই তুলে আনা ত্যাগী-ভোগী তত্ত্ব। শুভেন্দু রাজীবদের নাম না করেই কটাক্ষ করেন তিনি। কথায় কথায় নিজের সম্পর্কে বলেন, আমি নিজেকে একজন কর্মী ভাবি, মুখ্যমন্ত্রী ভাবি না। একটা রাজনৈতিক দল অনেক লোক নিয়ে হয়। আমি যদি মনে করি আমি বড়ো নেতা একা থাকব, এটা ভুল। নিজেকে সামনে রেখে ক্ষমতা না পেয়ে দল ছাড়াদের স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন, পাশাপাশি বললেন, তৃণমূল কংগ্রেস মাথা নত করে টিকিট দেয় না,যারা কাজ করে তাদের টিকিট দেয়।
দলত্যাগের বান ডেকেছে, চলে গিয়েছে বহু চেনামুখ। নন্দীগ্রাম থেকেই বলেছিলেন ২৯৪ আসনে আমিই প্রার্থী। এদিনও সেই সুরটাই বজায় থাকল। মমতা বললেন, এটা অন্য কারোর ভোট নয়। এই ভোটটা আমার ভোট। কাকে প্রার্থী করা হবে দেখার দরকার নেই। যারা দলবদল করবে না তাদের প্রার্থী করব।
রাজনৈতিক মহলের ব্যখ্যা, কাটমানি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দলত্যাগ-ত্রিফলায় বিদ্ধ তৃণমূল। এই অবস্থায় তৃণমূল সুপ্রিমো বার্তা দিতেই চাইছেন, তিনি এই সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে। তাঁর লড়াই ঘরে বাইরে, তার লড়াই সমস্ত অন্যায়ের সঙ্গে আপোষহীনতার। কাজেই ভোট দিতে হলে প্রার্থী নয়, ভোট দিতে হবে তাঁকেই।
রাজনীতির ব্যাপারীরা বলেন ঠিক এভাবেই কাজ করেছিল মোদি ম্যাজিক। ২০১৯ লোকসভায় সমস্যাদীর্ণ দেশে মানুষ বিজেপিকে ভোট দেয়নি, ভোট দিয়ছিল মোদি হাওয়াতে। মোদিকে যোগ্য সঙ্গত করেছিলেন তাঁর অনুগামী নাড্ডা-শাহরা। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধারেকাছে তাঁর করিশ্মার সমান কেউ নেই। মমতা কি একাই একশো, পারবেন শৃঙ্গজয় করতে, উত্তর নিয়েই আসছে ভোট।