#মালদহ;- এবার মালদহেও তৃণমূলে ভাঙন। দল ছাড়ার কথা জানালেন মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত বিশ্বাস। শুক্রবার বিকেলে নিজের পদত্যাগের কথা লিখিতভাবে দলের জেলা সভাপতি মৌসম বেনজির নূরকে পাঠিয়েছেন বলে দাবি রঞ্জিত বিশ্বাসের। তাঁর স্ত্রী দিপালী বিশ্বাস গাজলের তৃণমূল বিধায়ক।
রাজনৈতিক মহলে খবর, দীপালী দেবীরও তৃণমূল ছাড়া কার্যত সময়ের অপেক্ষা। যদিও মালদহের তৃণমূল সভাপতি মৌসুম নূর বলেন, রঞ্জিতবাবু গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তাঁর ইস্তফাপত্র পাইনি। তবে টেলিফোনে আমাকে বেশকিছু ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। আমি তাঁর সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছি। এদিকে রঞ্জিত বিশ্বাসের দলত্যাগের পরপরই মালদহের গাজলের কদুবাড়ি এলাকায় গেরুয়া ব্যাকগ্রাউন্ডে শুভেন্দু অধিকারীর নামে ব্যানার ঝুলতে দেখা যায়। এই বিষয়টিও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের। শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেওয়া ফ্লেক্স-এ লেখা, আমরা দাদার অনুগামী। রাজনৈতিক মহলের খবর, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই শনিবার গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে চলেছেন গাজলের দাপুটে নেতা রঞ্জিত বিশ্বাস।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে গাজোল বিধানসভা কেন্দ্রে জোট সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী হিসেবে জেতেন দিপালী বিশ্বাস। পরে ওই বছরেই ২১ জুলাই শুভেন্দু অধিকারীর উদ্যোগে তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূলে যোগ দিয়ে দলের ব্লক সভাপতির দায়িত্ব পান দীপালী বিশ্বাস। যদিও গাজোলে দল পরিচালনায় রাশ ছিল রঞ্জিত বিশ্বাসের হাতেই। পদত্যাগপত্রে রঞ্জিতবাবু অভিযোগ করেছেন, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সময় অনেক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তার কোনটাই বাস্তবায়িত হয়নি। দল বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তাই এই দলে বর্তমানে সম্মান নিয়ে কাজ করা অসম্ভব। তৃণমূলের সমস্ত রকম পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগের পর মালদহে বামনগোলা ও হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকে অঞ্চলস্তরের কিছু নেতা ইস্তফা দিয়েছেন। তবে ব্লকস্তরে কোনও নেতার ইস্তফা কার্যত প্রথম। রঞ্জিত বিশ্বাসের মতো দাপুটে নেতা দলত্যাগের কথা জানানোয় নড়েচড়ে বসেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দলে ভাঙন সমস্যার কথা রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ভাঙন ঠেকাতে জেলাস্তরে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়েও আলোচনা শুরু করেছেন নেতৃত্ব।
সেবক দেবশর্মা
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Suvendu Adhikari