মালদহ: মালদহের মানিকচকে স্বামী-স্ত্রী-র রহস্যজনক মৃত্যু। বাড়ির শোবার ঘর থেকে উদ্ধার । বিছানায় মৃত অবস্থায় মেলে মহিলার মৃতদেহ। একই ঘরে সিলিং-এ ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় স্বামীর দেহ। মালদহের মানিকচক ব্লকের ভূতনি থানার গোবর্ধনটোলার ঘটনা। পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। এরপর ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার হয় জোড়া মৃতদেহ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত পিন্টু পাল পেশায় মাটির ব্যবসায়ী। প্রায় দুই বছর আগে আত্মঘাতী হয়েছিলেন পিন্টুর প্রথম স্ত্রী। এরপর প্রিয়াঙ্কার (২২) সঙ্গে বিয়ে করেন পিন্টু। দম্পতির দুই মাসের শিশু সন্তানও আছে। পরিবারে স্বামী-স্ত্রী, শিশু সন্তান ছাড়াও থাকতেন শ্বশুর। মৃত পিন্টু পালের বাবা মন্টু পাল বলেন, "রাতেই শোবার ঘর থেকে বাচ্চার চিৎকার শুনতে পাই। খোঁজ নিতে গেলে নাতিকে কোলে ধরিয়ে দেয় ছেলে। এরপর ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়।"
কিছু সময় পরে নাতিকে ফেরত দেওয়ার জন্য আবার ছেলের ঘরে ডাকাডাকি করি কিন্তু ঘর না খোলায় সন্দেহ হয়। এরপরে খারাপ কিছুর সন্দেহ উঁকি দেয়। দরজা ভেঙে দেখা যায় দুজনেই মৃত অবস্থায় রয়েছে। পরিবারের লোকজনের দাবি, স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে তেমন কোনও বিবাদের কথা কেউই জানতেন না। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে তবে কি স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে ‘খুন’করলেন পিন্টু । কেনই বা এভাবে শেষ করে দিলেন নিজের জীবন। মৃত প্রিয়াঙ্কার মা পার্বতী মণ্ডল বলেন, "মেয়ে জামাই এর মধ্যে কোনও সমস্যা ছিল না। তবে মেয়ের শ্বশুর মাঝে মধ্যে নাানান অশান্তি করত। মেয়ে নিজেই একথা জানিয়েছিল। এই ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত দাবি করছি।"
আরও পড়ুন: ঘর ঝাঁট দিতে দিতে ক্লান্ত? এই ছোট্ট রোবটই ঝাড়ু দিয়ে দেবে আপনার গোটা বাড়ি
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে মৃত্যুর ঘটনার প্রাথমিক সূত্র মিলতে পারে। এরপরের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে মৃত্যুর ঘটনার প্রাথমিক সূত্র মিলতে পারে।
সেবক দেবশর্মা
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।