মালদহ: ব্যাঙ্ককর্মী হয়েও ব্যাঙ্ক থেকেই দিনের পর দিন সোনা 'উধাও' করে দেওয়ার অভিযোগ। আবার সেই সোনা কাজে লাগিয়েই একাধিক ব্যাংক থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে 'গোল্ড লোন' বাবদ লক্ষ লক্ষ টাকা। এই কাজে ব্যবহার করা হয়েছে একাধিক পরিচিতদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও নথি। প্রতারণার অভিনব চক্র ফাঁস মালদহে। পুলিশের হাতে গ্রেফতার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এক অস্থায়ী কর্মীসহ দুই। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে উধাও হওয়া সোনা উদ্ধারের চেষ্টায় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।
সূত্রের খবর, ব্যাঙ্ক থেকে ধাপে ধাপে উধাও করা হয়েছে ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম সোনা। যে সোনা ব্যবহার করে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে একাধিক ব্যাংক থেকে 'গোল্ড লোন' হিসেবে। এখুনি নজরে না পড়লে এই চক্র কোথায় গিয়ে থামতো, তা নিয়ে উদ্বেগে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ক থেকে সোনা লোপাটের ঘটনা ঘটেছে মালদহ শহরের স্টেশন রোড এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের একটি
আরও পড়ুন:বৈশাখের ভুরিভোজ! মাটন, চিকেন, ইলিশ, চিংড়ি - কব্জি ডুবিয়ে খান, পকেটেও পড়বে না চাপ
ব্যাঙ্কের এক গ্রাহক 'গোল্ড লোন' বাবদ জমা রাখা সোনা ফেরত নিতে আসায় এই ঘটনা ধরা পড়ে। দেখা যায়, ওই গ্রাহকের নির্দিষ্ট সোনার অলংকার উধাও। তা ব্যাঙ্কের হেফাজতে নেই। আরও খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা যায়, শুধু একজন গ্রাহক নন আরও অনেক গ্রাহকের গোল্ড লোন বাবদ জমা রাখা সোনা উধাও। ব্যাঙ্কের ভেতরের কেউ বা কারা এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করে কর্তৃপক্ষ। ঘটনায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে লিখিত অভিযোগ জানানো হয় ইংরেজবাজার থানায়। এরপরেই তদন্তে নামে পুলিশ।
ঘটনার তদন্তে নেমে, পুরাতন মালদহের বাসিন্দা ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এক অস্থায়ী কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ব্যাঙ্ক থেকে সোনা সরানোর ঘটনায় তার প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে বলে মনে করছেন পুলিশের তদন্তকারীরা। তাকে জেরা করে ইংরেজবাজার শহরের বাসিন্দা আরও এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত ব্যাঙ্ক কর্মীর সঙ্গে যোগসাজসে দ্বিতীয় যুবক 'চুরির সোনা' অন্য ব্যাঙ্কে রেখে গোল্ড লোন বাবদ টাকা তোলে বলে দাবি পুলিশের। তাঁকেও হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গত ৬ এপ্রিল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের তরফে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। তদন্তে দেখা যায়, ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে বেশকিছু সোনার প্যাকেট উধাও। আরও কয়েকটি প্যাকেট খোলা অবস্থায় রয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, ওই ব্যাঙ্ক থেকে চুরি করা সোনা, অন্যান্য ব্যাঙ্কে জমা রেখে অন্তত চারজনের নামে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা ঋণ তোলে ওই চক্র। এই ঘটনায় আরও কারা জড়িত, তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি, হেফাজতে নেওয়া ব্যাঙ্ক কর্মীকে জেরা করে সোনা উদ্ধার করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Malda