জলপাইগুড়ি : ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন । বাড়ি ছেড়ে স্বপ্ন পূরণে জলপাইগুড়ি এসে হাতখরচের টাকা তুলতে শহরের ফুটপাতে বসে ছবি এঁকে বিক্রি করেন শুভজিৎ। তার কব্জির মোচড়ে নিমেষেই লাল বল খুঁজে নেয় বাউন্ডারির ঠিকানা । কখনও বা আঙুলের কেরামতিতে অফস্পিনের ভেলকিতে উড়ে যায় উইকেটের বেল। মালদহের ইংরেজবাজার থেকে জলপাইগুড়ি এসে ফিটনেস ট্রেনিং করছেন শুভজিৎ সাহা। লক্ষ্য, বাংলা দলের হয়ে রঞ্জি খেলা । আশ্রয় কোচের বাড়িতেই। থাকা-খাওয়া নিখরচায় সেখানেই । হাতখরচ জোগাড় করতে নিজের আঁকা ছবির পসরা সাজিয়ে প্রতি সন্ধ্যায় বসছেন কদমতলা সংলগ্ন শিয়ালপাড়া মোড়ে ।
ছেলে ক্রিকেটার হোক, এমন চাননি বাড়ির বড়রা । কিন্তু নিজের জেদ সম্বল করেই পথচলা শুরু করেছেন শুভজিৎ । ফিটনেস-সহ অন্যান্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন কোচ সুদীপ চন্দের কাছে । থাকা খাওয়া বিনামূল্যে, সুদীপবাবুর ডাঙাপাড়ার বাড়িতেই । তবে নিজের হাতখরচ বলে কিছু লাগবে তো? সেই খরচ জোগাতেই ফরমায়েশি ছবি এঁকে দু-পয়সা উপার্জন করছেন তিনি। শুভজিত বলেন, প্রথাগতভাবে আঁকা শেখার সুযোগ তার হয়নি । লকডাউনের সময় থেকেই হাতেখড়ি। জলপাইগুড়ি এসে নীহার মজুমদার, নির্মল চন্দ,অমরনাথ নন্দীর মতো চিত্রশিল্পীদের সংস্পর্শে এসে তার আঁকার উন্নতি হয়েছে।
আরও পড়ুন : গা ঢাকা আগেই, এ বার পার্থ গ্রেফতার হতেই মোবাইলও বন্ধ কোলাঘাটের এক তৃণমূল নেতার
তিনি সপরিবারে সৌরভের ছবি এঁকেছেন । বিরাট কোহলি, ঋদ্ধিমান সাহা-সহ অনেকের ছবি এঁকেছেন তিনি। শুভজিৎ আরও বলেন, ‘‘ কদমতলায় আমার কাছে অনেকেই এসে পোট্রের্ট তৈরির বরাত দিচ্ছেন। সেইমতো কাজ করছি। হাতখরচও উঠে আসছে।’’ জলপাইগুড়ির মানুষজন খুব আন্তরিক; তাকে সহজেই আপন করে নিয়েছেন বলে জানালেন শুভজিত।
আরও পড়ুন : আইএসসি পরীক্ষায় দেশের মধ্যে তৃতীয় শ্রীরামপুরের মেহলি
সকালে নিজের প্র্যাকটিসের পাশাপাশি টাউন ক্লাবের ক্রিকেট কোচিং সেন্টারে খুদেদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছেন শুভজিত। তিনি বলেন, ‘‘আমি ওপেনিং ব্যাটার; সঙ্গে অফস্পিন বোলিংও করি। বাংলা দলের হয়ে জাতীয় স্তরে খেলাটাই আমার লক্ষ্য। সিএবি-র ক্লাব ক্রিকেট খেলেছি। এবার অধরা স্বপ্নটাকে পূর্ণ করতে চাই।’’ তবে ক্রিকেটের পাশাপাশি ছবি আঁকাও তার জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন শুভজিত।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cricket, Jalpaiguri, Malda