#মালদহ: জুতো সেলাই করে সংসার চালিয়েও মাধ্যমিক আর উচ্চমাধ্যমিকে নজরকাড়া ফল মালদহের কনুয়া হাইস্কুলের ফার্স্টবয় সঞ্জয় রবিদাসের। এবার তাঁর লড়াইকে স্বীকৃতি দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। ২০২০ সালের "বীরপুরুষ" পুরস্কারের জন্য মালদহের চাঁচোলের কনুয়ার বাসিন্দার নাম চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ২০ নভেম্বর কলকাতার রবীন্দ্রসদনে তাঁর হাতে সম্মান তুলে দেবে রাজ্য সরকার।
চাঁচোলের কনুয়া বাজারে রাস্তার ধারে বসে দিনভর জুতো সেলাই করতে দেখা যেত সঞ্জয় রবিদাসকে। ছেলেবেলায় বাবা-মারা যাওয়ার পর একটু বড় হতেই জুতো সেলাই করে সংসার চালানোর দায়িত্ব এসে পড়ে সঞ্জয়ের কাঁধে। পড়াশোনায় সেই ছিল ক্লাসের ফার্স্ট বয়। কনুয়া হাইস্কুলের শিক্ষকেরা মেধাবী সঞ্জয়কে পড়াশুনায় সাহায্য করেছিলেন। ২০১৮ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৬৫ নম্বর পায় সঞ্জয়। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পড়াশোনার প্রতি ঝোঁক আরও বাড়ে। এ'বছরের উচ্চ মাধ্যমিকে সকলকে চমকে দিয়ে সঞ্জয় পান ৪৫১, অর্থাৎ ৯০ শতাংশেরও বেশি নম্বর। সঞ্জয়ের লড়াইয়ের খবর তুলে ধরা হয়েছিল নিউজ-১৮ বাংলায়। উচ্চমাধ্যমিকের পর আপাতত নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজে ইতিহাস অনার্স নিয়ে ভর্তি হয়েছেন সঞ্জয়। এখনও প্রতিদিনই রাস্তার ধারে বসে জুতো সেলাই করেই তাঁর সংসার চলে! দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে শুক্রবার মিলল সংগ্রামের স্বীকৃতি। জেলা প্রশাসনের তরফে সঞ্জয়কে 'বীরপুরুষ' পুরস্কার প্রাপ্তির কথা জানানো হয়। এই খবরে এখন খুশির হাওয়া সঞ্জয়দের টিনের চালাঘরে। সরকারের স্বীকৃতি আগামী দিনের লড়াইয়ে উৎসাহ যোগাবে বলে আশা সঞ্জয়ের। ছেলের পুরস্কার প্রাপ্তিতে কার্যত বাকরুদ্ধ জনমজুর কল্যাণী রবিদাস। উচ্ছ্বসিত প্রতিবেশীরাও।
SEBAK DEB DARMA