মালদা: খেলার ছলে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে অঘটন। মালদহে কালিন্দী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে তলিয়ে গেল দুই শিশু। শেষে ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে উদ্ধার মৃতদেহ। নাবালক দুই ভাইয়ের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পরিবার এমনকি গোটা গ্রাম।
মর্মান্তিক বললেও যেন কম বলা হয়। একই পরিবারের দুই খুদে শিশু, একজনের বয়স দশ বছর। অন্যজন আরও কম- মাত্র আট বছরের। অন্যান্য দিনের মতোই খেলার ছলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গ্রামে কালিন্দী নদীর ধারে চলে যায় দুই শিশু। শুখা মরশুম হওয়ায় এখন নদীতে জল তুলনামূলকভাবে অনেকটা কম। এই জলে নেমে মাছ ধরার চেষ্টা করছিল দুই ভাই রৌনক আনসারি (১০) এবং ঈশান আনসারি (৮)। দুজনেই রতুয়ার বাহারাল পঞ্চায়েতের বাখরা মোমিনপুর এলাকার বাসিন্দা।
জানা যাচ্ছে, তিন শিশু নদীতে মাছ ধরার সময় দুই ভাই রৌনক এবং ঈশান চোরা স্রোতে তলিয়ে যায়। তাদের সঙ্গে থাকা অন্য এক শিশু বাড়িতে এসে ঘটনার খবর দেয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই স্থানীয়রা নদীতে তল্লাশি শুরু করেন। প্রথমে জাল ফেলে তল্লাশি হয়। পরে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ এবং প্রশিক্ষিত ডুবুরি। তবে ততক্ষণে বেশ কিছুটা সময় পার হয়ে যায়।
আরও পড়ুন - Bardhaman News: বরাদ্দ হল ৬০ কোটি, বর্ধমান মেডিকেলে দ্রুত চাইল্ড হাব গড়ার উদ্যোগ
এদিকে শিশুদের তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে প্রচুর মানুষ নদীর দু ধারে ভিড় জমান। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের বেঁচে থাকার আশা কমতে থাকে। নদীর ধারেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। শেষ পর্যন্ত ডুবে যাওয়ার প্রায় দুই ঘণ্টা পর ঘটনাস্থল থেকে প্রায় পঞ্চাশ মিটার দূরে দুই শিশুকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এরপর নিয়ে যাওয়া হয় রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা দুইজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন - Paschim Medinipur News: পরিষেবা দেওয়ার নাম করে লোক ঠকানোর কারবার, লক্ষ লক্ষ টাকা লুঠ, এবার পুলিশের হাতে
স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, শিশুদের পক্ষে বেশিক্ষণ বেঁচে থাকা কঠিন। এদিন ঘটনাস্থলে ডুবুরি পৌঁছতেই যথেষ্ট দেরি হয়ে যায়। সময়মতো উদ্ধার কাজ শুরু করা যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এমন বিপত্তি এড়াতে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতার প্রচার চালানো হবে। কোনও অবস্থাতেই যাতে শিশুরা একা নদীরপাড়ে অথবা জলে না যায়, এবিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন করা হবে।
Sebak DebSarmaনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।