মালদহ: নতুন রাস্তা তৈরির জন্য ফলক লাগানো হয়েছিল। কিন্তু, কিছুদিনের মধ্যেই 'উধাও' সেই ফলক। এরপর দুই বছর কেটে গেলেও রাস্তা সংস্কারের কাজ হয়নি মালদহের কালিয়াচকের রামাশংকরটোলা এলাকায়। প্রতিদিন বেহাল রাস্তায় চলতে গিয়ে বিপদে পড়ছেন বাসিন্দারা। কোনও কারণে বৃষ্টি হলে রাস্তা চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়ছে। বেশ কয়েকবার গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন বাসিন্দারা। কিন্তু অভিযোগ শুধু আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই মেলেনি।
মালদহের কালিয়াচক-১ নম্বর ব্লকের রামাশংকরটোলা এলাকায় ২০১৯-২০ সালে পাকা রাস্তা তৈরির জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ৩০ লক্ষ টাকারও বেশি। ওই এলাকায় বাঁধ রোডে এক কিলোমিটার রাস্তা পাকা করার সিদ্ধান্ত হয়। টাকা বরাদ্দ হওয়ার পর রাস্তার ওপর কিছু মাটি ফেলা হয়। এরপর তাও বন্ধ হয়ে যায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এক সময় তাঁরা দেখেন, রাস্তার দু'দিকে দুটি ফলক লাগানো হয়েছে। আবার কিছুদিনের মধ্যে কেউ বা কারা সেই ফলক সরিয়ে দেয়। এ'বিষয়ে জেলাশাসক, কালিয়াচক-১ নম্বর ব্লকের বিডিও-র কাছে গণস্বাক্ষর সম্বলিত অভিযোগপত্র জমা করেছেন বাসিন্দারা। ওই প্রকল্পের তদন্তের দাবিও করা হয়েছে।
এদিকে প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ রোড ধরে প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার লোক যাতায়াত করেন। কয়েকশো ছোট-বড় গাড়ি চলাচল করে এই রাস্তায়। গ্রামীণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু, এখনও কাঁচা অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই রাস্তার তৈরির জন্য ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৩০ লক্ষ ৫৯ হাজার ৩৯৬ টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়। অবিলম্বে বেহাল রাস্তা সংস্কার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।বেহাল ওই রাস্তার সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন কালিয়াচক-১ নম্বর ব্লকের বিডিও সেলিম হাবিব বিশ্বাস। তিনি বলেন, গ্রামবাসীরা রাস্তার সমস্যার কথা জানাতে এসেছিলেন। তাঁরা গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। ওই রাস্তা গুরুত্বপূর্ণ। সংস্কার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু, একশো দিনের প্রকল্পের টাকা বরাদ্দ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। বিকল্প উপায়ে ওই রাস্তা পাকা করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Malda