মালদহ: মুহূর্তে বিধ্বংসী চেহারা নিল আগুন। ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই এক পরিযায়ী শ্রমিকের বসতবাড়ি সহ নগদ লক্ষাধিক টাকা। সর্বস্ব খুঁইয়ে বিপাকে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গাংনদীয়া এলাকায়।
পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক আব্দুল রউফ এর বাড়িতে আগুন লাগে। ওই আগুনে হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও বাড়িতে থাকা আসবাবপত্র, খাদ্যশস্য, সরকারি নথিপত্র এবং নগদ তিন লক্ষ টাকা পুড়ে ছাই হয়ে যায় বলে দাবি পরিবারের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী মর্জিনা বিবি বাড়ির দরজা বন্ধ করে ছাগলের জন্য মাঠে ঘাস কাটতে যান। আচমকাই বাড়িতে আগুন লেগে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। প্রতিবেশীরা ছুটে এসেও আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগাতে সাহস পায়নি।
ফোন করা হয় তুলসীহাটা দমকল অফিসে। দমকলের একটি ইঞ্জিন ছুটে এসে ঘন্টা দুয়েকের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও বাড়িতে থাকা আসবাবপত্র, খাদ্য শস্য ও নগদ লক্ষাধিক টাকা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কার্যত সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়াতে বর্তমানে প্রায় নিঃস্ব পরিবার। খোলা আকাশের নিচে পলিথিন টাঙিয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মহিলা মর্জিনা বিবি বলেন, স্বামী ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। কোনওরকমে সংসার চালানো হয়। কয়েক বছর ধরে হাড়ভাঙা খাটনি করে পাকাবাড়ি তৈরির স্বপ্ন নিয়ে তিল তিল করে টাকা জমিয়েছিলেন। আগুনের ঘটনায় সেই টাকা নিমেষে পুড়ে ছাই।দমকল জানিয়েছে, ফোন পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর চেষ্টা হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় দুই ঘন্টা সময় লাগে। আগুনে বাড়ির দুটি শোবার ঘর ও একটি রান্নাঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আরও পড়ুন, আজও ভাসতে চলেছে কলকাতা ও রাজ্যের নানা অংশ, কত দিন চলবে দুর্যোগ, জানুন পূর্বাভাস
আরও পড়ুন, সাতসকালে এ কী কাণ্ড! স্টেশনের টিভিতে অ্যাডাল্ট ফিল্ম! টানা ৩ মিনিট চলল 'নীল ছবি'
আগুনের সঠিক উৎস জানা সম্ভব হয়নি। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, রান্নাঘর থেকে আগুন ছড়িয়ে থাকতে পারে। বাড়ির ভেতরে প্রচুর পরিমাণ পাটকাঠি ও জ্বালানি মজুত থাকায় এই আগুন অল্পক্ষণের মধ্যেই বিধ্বংসী চেহারা নেয়। ফলে চেষ্টা করেও বহু জিনিসপত্র বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Fire