হোম /খবর /উত্তরবঙ্গ /
এই তো ক'দিন আগেই মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন! ৪০ দিন পরেই ফিরল নিথর দেহ, কেন জানেন?

Malda News: এই তো ক'দিন আগেই মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন! ৪০ দিন পরেই ফিরল নিথর দেহ, কেন জানেন?

মালদহ মেডিক্যাল কলেজের মর্গ চত্বরেই হানা পুলিশের, গ্রেফতার অভিযুক্ত স্বামী।

  • Share this:

মালদহ: বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে অত্যাচারের অভিযোগ। শেষে 'খুন' গৃহবধূ। বিয়ের ৪০ দিনের মাথায় নতুন বিয়ে করা বউকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ওই গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ চত্বর থেকে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনা মালদহ জেলার ইংরেজবাজার থানার দক্ষিণ বালুচর এলাকায়।

মৃত গৃহবধূর নাম টুম্পা ঘোষ (১৮)। অভিযুক্ত স্বামীর নাম সুজয় ঘোষ। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন চল্লিশ আগে মালদহ জেলার বৈষ্ণবনগর থানার জোত চাঁইপাড়া এলাকার বাসিন্দা ওই যুবতীর সঙ্গে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় ইংরেজবাজার শহরের দক্ষিণ বালুচরের বাসিন্দা সুজয় ঘোষের। পেশায় শ্রমিক সুজয় মাঝেমধ্যেই স্ত্রীয়ের উপরে অত্যাচার চালাত বলে অভিযোগ। এনিয়ে এর আগেও স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়েছে।

আরও পড়ুন: অনুব্রত মণ্ডলের থাকা-খাওয়ার জন্য এলাহী বন্দোবস্ত ED-র! AC রুমের সঙ্গে অ্যাটাচড বাথ, ভাবা যায়...

মৃত গৃহবধূর পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকেই কখনও মোটরবাইক আবার কখনও পণ বাবদ নগদ টাকার দাবি করত সুজয়। এরপর সম্প্রতি হোলিতে বাবার বাড়ি বৈষ্ণবনগরে ঘুরতে যান ওই গৃহবধূ। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার স্বামীর সঙ্গেই ফিরেছিলেন বালুচর এলাকার শ্বশুরবাড়িতে।

কিন্তু রাত পেরতে না পেরতেই মেয়ের পরিবারের সদস্যেরা জানতে পারেন, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন টুম্পা। মৃত গৃহবধূ পরিবারের এক সদস্য জানান, বিয়ের পর থেকেই সুজয় টুম্পার উপরে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন চালাত। বাড়িতে সে কথা জানিয়েও ছিল মেয়ে। কিন্তু, পরিণাম এত ভয়ঙ্কর হবে তা কেউই কল্পনা করতে পারেননি। রাতে মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকাছন্ন হয়ে পড়ে গোটা পরিবার।

আরও পড়ুন: ED র জালে আরেক তৃণমূল নেতা, এবার গ্রেফতার কুন্তল ঘনিষ্ঠ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়

পরিবারের দাবি মেয়ে নিজে থেকে আত্মহত্যা করতে পারে না। পণের দাবিতে অত্যাচার চালাত জামাই। সেই কারণেই হয়ত গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে তাদের পরিবারের মেয়েকে। এই মৃত্যুর ঘটনায় ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে। তদন্ত নেমে পুলিশ হানা দেয় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গ চত্বরে। সেখান থেকেই গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত স্বামী।

এদিকে ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃত গৃহবধূর পরিবার সহ গোটা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর এবিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Published by:Satabdi Adhikary
First published: