মালদহ: মালদহে এবার অধিকাংশ গাছে ব্যাপক মুকুল এসেছে। আম গাছগুলিতে ধরতেও শুরু করেছে আমের গুটি। অথচ এই 'ফলন্ত' আম গাছগুলিকেই প্রায় রাতারাতি কেটে সাফ করছে দুষ্কৃতীরা। একইসঙ্গে দিন ও রাতে চলছে আমবাগান কেটে ফেলার কাজ। অভিযোগ, এর পেছনে রয়েছে শক্তিশালী জমি মাফিয়া চক্র। ঘটনায় প্রশ্নের মুখে বন দফতর আর প্রশাসনের ভূমিকা। কারণ চোখের সামনে এমন ঘটনা হয়ে চললেও কোনওরকম পদক্ষেপ নেই।
মালদহের আম দেশে-বিদেশে সমান বিখ্যাত। সামনেই আমের মরশুম। অথচ এই পরিস্থিতিতে নির্বিচারের কাটা হচ্ছে যথেচ্ছ আমগাছ। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের রামনগরের ঘটনা হইচই ফেলেছে এলাকায়়়। অভিযোগ, এখানে একসঙ্গে প্রায় ৪০ টি আম গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে এমনকি দিনের আলোতেও চলছে অবাধে গাছ কাটা। অভিযোগ, সব জেনেও কার্যত নিশ্চুপ বন দফতর আর প্রশাসন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যেভাবে এলাকায় ব্যাপক পরিমাণ বৃক্ষছেদন চলছে,তাতে ভবিষ্যতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। তাছাড়া কিভাবে ওই এলাকায় একসঙ্গে প্রায় ৪০টি আম গাছ কেটে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অনুমতি না থাকলে বন দফতর কেন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না, তা নিয়েও সরব এলাকার মানুষ এবং পরিবেশপ্রেমীরা। সকলেই চাইছেন, অবিলম্বে গাছ কাটা আটকাতে কার্যকরী পদক্ষেপ নিক প্রশাসন।
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে এভাবে নির্বিচারে গাছ কাটা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি জমি মালিক। রহস্যজনকভাবে মুখ খুলতে নারাজ বন দফতরের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। আর এরইমধ্যে ফলন্ত আমবাগান কাটা নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক -বিরোধী চাপানউতোর। যদিও প্রকাশ্যে দু'পক্ষই আম গাছ কাটা বন্ধের দাবি তুলেছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Malda