মালদহ:- ঠিক যেমনটা চাইছিলেন মালদহের লক্ষাধিক আমচাষি, তেমনটাই ঘটল গত দু'দিনে। আম বরাবরই আবহাওয়া নির্ভর ফল। প্রায় প্রতিবছরই আমের মরশুমের শুরুতে আমগাছে স্প্রে করে জলের যোগান দিতে হয় চাষিদের। এসময় পর্যাপ্ত জল না পেলে গুঁটি অবস্থায় আম ঝরে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু, গত শনিবার থেকেই মেঘলা আবহাওয়া মালদহে। এরপর রবিবার সন্ধ্যে থেকে রাতভর জেলার বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সোমবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় মালদহ জেলায়়় গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৮.৬ মিলিমিটার। এরমধ্যে হবিবপুরে সর্বোচ্চ ৫৯.২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গাজোল ব্লকে গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩৯.২ মিলিমিটার। ইংরেজবাজারে বৃষ্টি হয়েছে ৩০.৪ মিলিমিটার। জেলার প্রায়়় সবকটি ব্লকেই মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
জেলায় প্রায় ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। জেলার আম গাছে প্রায় ৯৫ শতাংশ মুকুল এসেছে। ইতিমধ্যেই মুকুল থেকে বিভিন্ন গাছে আমের গুঁটিও ধরেছে। এই অবস্থায় বৃষ্টির জল পেলে আমের গুঁটি বা বোঁটা আরও শক্ত হবে।এতে পরবর্তীতে কোনওরকম ঝড় বা কালবৈশাখী হলেও আমের ঝড়ে পড়ার সম্ভাবনা কমবে। ফলে আম গাছগুলি ফলন ধরে রাখতে সক্ষম হবে। আর এতেই আমের রেকর্ড ফলনের সম্ভাবনা আরও বাড়ল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন : রাশিয়ার তরুণী এখন নদিয়ার বাঙালি গিন্নি, আটপৌরে শাড়ি পরে জমিয়ে ভাত খান পুঁইচচ্চড়ি ও আলুপোস্ত মেখে
মালদহ জেলায় গত কয়েক বছর ধরে গড়ে আড়াই থেকে তিন লক্ষ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়। এবছর জেলায় সাড়ে তিন থেকে পৌনে চার লক্ষ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ।
আরও পড়ুন : কুরকুরে মোমোর স্বাদে মজেছে বৃষ্টিভেজা আড্ডা, জানুন ঠিকানা
এই অবস্থায় মরশুমের শুরুতে মাঝারি বৃষ্টির মতো অনুকুল আবহাওয়া পাওয়া গেলে তা আম উৎপাদনের পক্ষে বিশেষ সহায়ক হবে। মালদহের উদ্যানপালন দফতরের সহ-অধিকর্তা সামন্ত লায়েক বলেন, " বৃষ্টি হওয়ার ফলে চাষীদের গাছে জল স্প্রে করার প্রয়োজন হবে না। এইসময়় প্রচন্ড রোদ থাকলে বোঁটা শুকিয়ে আম ঝরে যায়। বৃষ্টি আর মেঘলা আবহাওয়াতে সেই সম্ভাবনাও থাকছে না। ফলে ব্যাপক আম উৎপাদনের সম্ভাবনা আরও বাড়ল।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।