হোম /খবর /উত্তরবঙ্গ /
করোনা ভীতি কাটিয়ে বড়দিনে উৎসব মুখর মালদহ

করোনা ভীতি কাটিয়ে বড়দিনে উৎসব মুখর মালদহ

করোনা আবহে দীর্ঘ কয়েক মাস কার্যত ঘরবন্দি হয়ে থাকার পর প্রাণভরে আনন্দ উপভোগ করতে বড়দিন থেকেই কার্যত উৎসবে মেতে উঠতে দেখা গেল মালদহের মানুষকে।

  • Last Updated :
  • Share this:

#মালদহ:- বড়দিনে "ফেস্টিভ মুড" ধরা পড়ল মালদহে। দিনভর হুল্লোড়, হইচই, আনন্দ করে কাটালেন মালদহের মানুষ। গৌড়, আদিনার মত পর্যটন কেন্দ্র থেকে শুরু করে বেসরকারি বিনোদন পার্ক যূথীকুঞ্জে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। একইরকম ভাবে ভিড়ের ছবি ধরা পড়ে মালদহের ওয়াটার পার্কেও। অনেকে ছুটির দিন পিকনিক করে কাটান। অনেকেই সময় কাটান বিনোদন পার্কে।

করোনা আবহে দীর্ঘ কয়েক মাস কার্যত ঘরবন্দি হয়ে থাকার পর প্রাণভরে আনন্দ উপভোগ করতে বড়দিন থেকেই কার্যত উৎসবে মেতে উঠতে দেখা গেল মালদহের মানুষকে। সকালে মালদহের রথবাড়ি ও সুকান্তমোড় এলাকার চার্চে জমা হয় অনেকেই। সেখানে নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে প্রভু যীশুর জন্মদিন পালন করা হয়। প্রভু যীশুর স্মরণে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

বেলা বাড়তেই গৌড়,আদিনা, কাজলদীঘি, সাগরদিঘীর মত পিকনিক স্পটগুলো দেয় অনেকেই হাজির হন। এবার সরকারিভাবে মালদহে পিকনিক নিষিদ্ধ করে প্রশাসন। এরপরেও পিকনিক স্পট গুলিতে দিনভর আনন্দে মাতেন বহু মানুষ। আদিনা ফরেস্টেও ছুটির আমেজে কাটান অনেকে। আদিনায় নতুন গড়ে ওঠা ইকোট্যুরিজম পার্কও অনেকের গন্তব্য ছিল। তবে এবার ব্যতিক্রম হিসেবে অনেককেই দেখা যায় রান্না করা খাবারের পরিবর্তে শুকনো খাবার সঙ্গে নিয়ে ডে-ভিজিটে বেরিয়ে পড়েছেন। গত কয়েক দিনের তুলনায় এদিন ঠান্ডার প্রকোপও ছিল বেশ কিছুটা কম। রোদ ঝলমলে আবহাওয়া আর সঙ্গে হালকা ঠান্ডা, সবমিলিয়ে আবহাওয়া ছিল অত্যন্ত মনোরম।

সারাদিন যেমন মানুষের গন্তব্য ছিল পিকনিক স্পট ও বিনোদন পার্ক। তেমনই সন্ধ্যার পর শহরবাসীর অনেকেই ভিড় জমান বালুরচর এলাকার পৌষ পার্বণ ও মেলায়। এখানে শীতকালীন বিভিন্ন সুস্বাদু খাবারের পসরা সাজানো হয়। নলেন গুড়ের নানান খাবার থেকে শুরু করে মিষ্টিমুখ, তেলেভাজা থেকে চিকেন, মটনের পদ রাত পর্যন্ত রকমারি খাবার দাবারের আস্বাদ নিতে দেখা যায় উৎসাহী মানুষজনকে। আর সবকিছু ছাপিয়ে দিনভর সর্বত্র ছিল সেলফি তোলার হিড়িক। কেউ করনাকালকে ক্য়ামেরা বন্দি করতে মুখে মাক্স পড়েই সেলফি তুললেন, কেউ তুললেন মাক্স ছাড়াই।

Sebak Deb Sharma

Published by:Elina Datta
First published:

Tags: Christmas