মালদহ: রাতের অন্ধকারে বাড়ির রান্নাঘর থেকে আচমকা আগুনের দাউদাউ শিখা। মুহূর্তের মধ্যে সে আগুন ছড়ায় পাশের গোয়াল ঘরে। চিৎকার করে সকলকে সতর্ক করেন গৃহবধূ। নিজের ঘর বাঁচাতে পারেননি ঠিকই। তবে সময়মতো সকলকে সজাগ করে দিয়ে গোটা গ্রামকে বাঁচালেন মালদহের মালতীপুরের গৃহবধূ। নিজের ঘর পুড়ছে দেখেও বাইরে বেরিয়ে পাড়া-প্রতিবেশীদের একত্রিত করেন মোসরেফা বিবি। তাঁর চিৎকার শুনে গ্রামবাসী এককাট্টা হয়ে আগুন প্রতিরোধে নামে। অনেকেরই মত, গৃহবধূ বুদ্ধি করে সকলকে এককাট্টা না করলে গোটা গ্রাম জ্বলে পুড়ে ছাড়খাড় হতো।
মালদহের মালতিপুর বিধানসভার চিলাপাড়া গ্রাম। এলাকার পেশায়় কৃষক পরিবার মোহম্মদ রব্বানীর। রাতে স্ত্রী মোশরেফা বিবি প্রথম নজর করেন বাড়ির রান্নাঘর থেকে আগুন ছড়াচ্ছে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন গ্রাস করে গোয়ালঘর। আগুনের বিষয় তখন কেউই টের পাননি। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। একবাড়ির সঙ্গে অন্য বাড়ির দূরত্ব প্রায় নেই বললেই চলে। এমন গ্রামে আগুন ছড়ালে তা ভয়াবহ রূপ নেবে, এটাই স্বাভাবিক। যেমনটা হতে যাচ্ছিল রাতে। বিষয়টি আন্দাজ করে প্রতিবেশীদের ডাকাডাকি করে একত্রিত করেন মোশরেফা বিবি।
এরপর শতাধিক গ্রামবাসী দমকলকে খবর দেওয়ার পাশাপাশি গ্রামের গভীর নলকূপ চালু করে বালতি বালতি জল দিয়ে আগুন নেভাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। গ্রামবাসীদের তৎপরতায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। এরপর চাঁচল থেকে এলাকায় পৌঁছায় দমকল বাহিনী। সময়মতো গ্রামবাসী তৎপর না হলে বা আগুন আরও একটু ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ন্ত্রণে আনা অত্যন্ত কঠিন কাজ হতো বলে জানিয়েছে দমকল ।তবে গ্রাম বাঁচলেও ওই কৃষকের রান্নাঘরে মজুত থাকা প্রায় চার কুইন্টাল সর্ষে এবং দুই কুইন্টাল ধান আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়েছে বলে পরিবারের দাবি । আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় লক্ষাধিক। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন গ্রামবাসীরা । অবিলম্বে ওই পরিবারকে সরকারি সাহায্য দেওয়ার দাবিও উঠেছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Malda