#রঘুনাথগঞ্জ: অগ্নিনির্বাপক কেন্দ্র তৈরি করার দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান নাগরিক মঞ্চের ব্যানারে স্থানীয় বাসিন্দারা। শনিবার সকালে রঘুনাথ গঞ্জের দাদা ঠাকুর মোড়ে প্রায় ঘন্টাখানেক রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এসে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুকে ফোন করে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনেন। এর পরেই অবরোধ ওঠে ও যান চলাচল শুরু হয়। শুক্রবার রাতে রঘুনাথ গঞ্জের দাদা ঠাকুর মোড়ে আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় প্রায় দশটি দোকান। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে একের পর এক দোকান আগুনে ভস্মীভূত হলেও ডোমকল আসতে দেরি করায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও অনেক পরে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ধুলিয়ান থেকে এসে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগায়।
প্রসঙ্গত রঘুনাথগঞ্জ বছর তিনেক আগে অগ্নিনির্বাপক কেন্দ্রের জন্য রঘুনাথগঞ্জের ওমরপুরের জায়গা ঠিক হয়ে থাকলেও এখনও পর্যন্ত অগ্নিনির্বাপক কেন্দ্র তৈরি হয়নি। রঘুনাথগঞ্জ জঙ্গিপুরে আগুন লাগলে ধুলিয়ান থেকে ও বহরমপুর থেকে দমকলের গাড়ি যায়। আর ফলে ক্ষতি হয়ে যায় অনেকটাই। জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, প্রাথমিকভাবে শট সার্কিট থেকে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থার আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, বারে বারে বিধানসভায় বলেছি অগ্নিনির্বাপক কেন্দ্র তৈরি করার জন্য। তবে দমকলমন্ত্রী খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হবে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদেরকে ব্যক্তিগতভাবে আমি সমস্ত রকম সহযোগিতা করব। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার রনি খান বলেন, দমকলের গাড়ি যদি তাড়াতাড়ি আসত তাহলে এতগুলো দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হতো না। আরো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। পাশেই পাশেই জঙ্গিপুর মহাকুমা হাসপাতাল। আরো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। পাশেই জঙ্গিপুর মহাকুমা হাসপাতাল।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Fire, North bengal news